দেশে করোনায় একদিনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ-সময় নতুন করে ১২৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (৭ মে ২০২১) ১৬৮২ জন শনাক্ত হয়েছিল; আর মৃত্যু হয়েছিল ৩৭ জনের।
বাংলাদেশে এ-নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১১৮৭৮ জন; আর সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। আজ শনিবার (৮ মে ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৯২ জন; এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। এ-সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪৭০৩টি; আক্রান্ত হয়েছেন ১২৮৫ জন; শনাক্তের হার ৮.৭৪ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ডানুযায়ী, কোনো দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি-না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো : রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
গত বছরের (২০২০) ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথমবারের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।
করোনায় একদিনে ৪৫ জনের মৃত্যু
করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা
- যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
- তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও, নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
- আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না-হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
- বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
- যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
- নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
- মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক
…………………
পড়ুন
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন
করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর
করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়
প্রয়োজনে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু