shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনায় একদিনে ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯

coronavirus
coronavirus-bd

দেশে করোনায় একদিনের ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ-সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬২৯ জন। আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫৮৯৬ জনের; শনাক্তের হার ১৪ শতাংশ। এ-পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; মারা গেছেন ১০৮৬৯ জন; সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল ২০২১) দেশে করোনাভাইরাসে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল; নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৪০১৪ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

গত বছরের (২০২০) ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি (২০২১) বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি (২০২১) থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল ২০২১) থেকে সারাদেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।

এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথমবারের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নতুন করে দ্বিতীয় দফার সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাইন শুরু হয়েছে গত বুধবার ১৪ এপ্রিল থেকে। এ-সময় অকারণে কাউকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

করোনায় একদিনে ৮৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬২৯

করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা
  • যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও, নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
  • আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না-হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
  • বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
  • যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
  • নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
  • মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

…………………

পড়ুন

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন

করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর

করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়

প্রয়োজনে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...