করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২৯৯৬ জনের শনাক্ত, মৃত্যু ৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২৯৯৬ জনের শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের সংখ্যা বাড়ল।

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২৯৯৬ জনের শনাক্তের বিপরীতে দেশে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জনের করোনা শনাক্ত হলো। দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন।

আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট ২০২০) করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সবশেষ মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ৫ জন।

জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

গতকাল সোমবার (১০ আগস্ট ২০২০) ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৯০৭ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছিল। এই সময় মারা যান ৩৯ জন।

তথ্যমতে, দেশে ৮৬টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা।

আগের দিন ১২ হাজার ৮৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮টি নমুনা।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যেকেউ যেকোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২৯৯৬ জনের শনাক্ত, মৃত্যু ৩৩। আরো নির্দেশনা

সচেতন হোন, সতর্ক থাকুন এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। কোরবানির পশুর হাটের নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

মাস্ক পরার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই মাস্ক পরুন।

জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।

নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

About The Author