নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য ফি আরোপ করেছে সরকার। এখন থেকে করোনা পরীক্ষায় বুথে লাগবে ২০০, বাসায় ডাকলে ৫০০ টাকা।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্যও লাগবে একই পরিমাণ টাকা। তবে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষায় দিতে হবে ৫০০ টাকা।
সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে আজ সোমবার (২৯ জুন ২০২০) পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
তবে পরিপত্রে গতকালের (২৮ জুন ২০২০) তারিখ রয়েছে। এত দিন সরকারিভাবে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বিনা মূল্যে করা হচ্ছিল।
সরকার মনে করছে, এর ফলে কোনো উপসর্গ ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ পরীক্ষা করিয়েছে।
অবশ্য বেসরকারি হাসপাতালে আগে থেকেই পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
আর বেসরকারিভাবে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য লাগছে সাড়ে চার হাজার টাকা।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পরিপত্র জারির আগে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
তারও আগে নমুনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
পরিপত্র অনুযায়ী, এ বাবদ আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে যাবে।
এতে আরো বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসাসংক্রান্ত সরকারি আদেশ বহাল থাকবে।
আর চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালার আওতায় সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা-সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তে শুরু থেকেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৬৮টি ল্যাবরেটরি চালু হয়েছে।
আর এ পর্যন্ত পিসিআরে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭ লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি নমুনা।
করোনায় সতর্কতামূলক নির্দেশনা
সচেতন হোন, সতর্ক থাকুন এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। কোরবানির পশুর হাটের নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। মাস্ক পরার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই মাস্ক পরুন।
জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু