
খুচরো কথা চারপাশে
কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা
সুনীল শর্মাচার্য
কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা
আজ একটি খবরে চোখ আটকে গেল : গ্রহ-নক্ষত্র নয়, ‘বিলুপ্ত’ কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা। আশ্চর্য, গ্রহ-নক্ষত্র ছেড়ে এখন খোদ নাসা কাঠঠোকরার খোঁজে মেতে উঠেছে। তার মাথার দাম ১০ হাজার ডলার।
শর্ত, তাকে ধরলে হবে না। মারা তো চলবেই না। শুধু প্রাণ ভরে দেখতে হবে। আবার, তাকে না-দেখতে পেলেও হবে। শুধু তার বাসার সঠিক ঠিকানা দিলেও চলবে। আর, তাতেই মিলবে পুরস্কার। ১০ হাজার ডলার।
ছোটবেলায় গহীন জঙ্গলে, বাঁশের ঝাড়ে কিংবা বাড়ির আনাচে-কানাচে গাছের ডালে এন্তার ঠকঠক শব্দ তুলে কাঠঠোকরা খাবার খুঁজতো। লম্বা ঠোঁট দিয়ে একটানা ঠুকরিয়ে ঠুকরিয়ে গাছের শুকনো ডালে, কখন গাছের গর্তে খাবার খুঁজতো। আর ডাকতে থাকতো কেমন গা ছমছম শব্দে।
মা বলতেন, কাঠুরেরা মরে কাঠঠোকরা হয়। পাখিটা দেখতে কালো নীলচে। গলায় সাদা সাদা ছোপ। ডানার আশেপাশেও এক টুকরো সাদা। মাথায় ঝুঁটি। রঙ লাল। আর কোনোটার মাথা কালো। ঠোঁটটা হাতির দাঁতের মতো ঝকঝকে সাদা। এরাও বিলুপ্ত! এখন আর তেমন দেখি না।
তবু নাসার বিজ্ঞানী উডি টার্নারের গলায়, ‘ইতিহাস আর বিভিন্ন গবেষণাপত্র ঘেঁটে আমাদের বিশ্বাস, ওরা আছে।’ বড় আশার কথা।
…………………
পড়ুন
কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ
লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য
সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি
গল্প
এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প: সুনীল শর্মাচার্য
আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য
প্রবন্ধ
কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য
মুক্তগদ্য
খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে
ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন
23 thoughts on “কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা”