প্রধান প্রতিবেদক : দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। ওই মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মতিসূচক মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
তবে শর্ত হচ্ছে, তিনি আগে যে শর্তে ছিলেন অর্থাৎ বাসা ও দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার আর বিদেশ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না।
গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই শামীম এস্কেন্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। তাতে তার অসুস্থ বোনের কারামুক্তির পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
প্রথমবার খালেদা জিয়াকে ছাড়ার সময় নিয়মানুযায়ী আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই শামীম এস্কেন্দারের আবেদনও পাঠানো হয় সেখানে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যকে বলেন, আমাদের অভিমত আমরা দিয়েছি। উনার সাজা স্থগিত করা হয়, উনার সাজা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে। শর্ত হচ্ছে, তিনি আগে যে শর্তে ছিলেন অর্থাৎ বাসা ও দেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরো ৩৪টি মামলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু