
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কমেছে। করোনা সংক্রমণের শেষ চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার গত ২৪ ঘণ্টায়। এ-সময় ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে ৯ মে এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল, ওই সময় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৯২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। সব মিলে দেশে ৩ লাখ ২৯ হাজার ২৫১ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন।
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট ২০২০) দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩ হাজার ২৩৬ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ২৭ হাজার ৮০৯ জন।
গতকাল সোমবার (৭ আগস্ট ২০২০) ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২০২ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। ওই সময় মারা যান ৩৭ জন।
তথ্যমতে, দেশে ৯৩টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭৩টি নমুনা।
এর আগের দিন ১৫ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৭টি নমুনা।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আরো নির্দেশনা
যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।
তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।
জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু