shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

শেরপুরে ছোটকাগজ চর্চা – ৩২তম পর্ব

Little Magazine
Little Magazine

শেরপুরে ছোটকাগজ চর্চা – ৩২তম পর্ব

জ্যোতি পোদ্দার

শেরপুরে ছোটকাগজ চর্চা – ৩২তম পর্ব

বত্রিশ

ভাঁজপত্র বা দেয়ালিকার তথ্য-উপাত্ত পাওয়া কিছুটা কষ্টকর। দিবসভিত্তিক দলবদ্ধ তরুণেরা বিভিন্ন সময় বের করেছে; নিয়মিত নয়—অনিয়মিত। লেটার প্রেসের যুগে ভাঁজপত্র বের করা যতটুকুর কষ্টসাধ্য ছিল, শেরপুর টাউনে কম্পিউটার সহজলভ্যতার কারণে পরবর্তী সময়ে কম্পোজ করে ফটোকপির ভাঁজপত্র বের করার প্রাধান্য লক্ষণীয়। ভাঁজপত্র তরুণের কবিতাচর্চার পাটাতন। নিজেকে বিকশিত করবার আঁতুড় ঘর।

ভাঁজপত্র প্রচার-প্রসারের ব্যাপকতা বিদ্যমান, কিন্তু তরুণদের নিজেদের মাঝেই বিতরণ কাজটি সম্পন্ন হবার কারণে ভাঁজপত্রের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা বেশ কষ্টকর। টাউন শেরপুরের তরুণেরা ভাঁজপত্র প্রকাশ করছে, অথচ পরস্পরের আদান-প্রদান নেই। নেই ভাব ভাবনার বিনিময়।

একই শহরে একই সময়ে বের হচ্ছে, অথচ অপরের কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে একই উত্তর ওঠে আসে। ‘শুনেছি ওরা করছে। হাতে পাই নাই। তবে আমরাই নিয়মিত বের করছি।’ এমন উত্তর একাধিক দলের কাছে পেয়েছি; অথচ নিজেদের ভাঁজপত্রের সব সংখ্যা দিতে পারেননি।

ভাঁজপত্র ‘ছাপ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে ১৭ ডিসেম্বর। রঘুনাথ বাজার থেকে। ‘শেরপুর সাহিত্য পরিষদের’ প্রযত্নে। এটি সাহিত্য পরিষদের প্রথম প্রয়াস। সম্পাদনা পরিষদে ছিলেন—রবিন পারভেজ, উদয় শংকর রতন, রোমান জাহান ও কাকন রেজা।

‘ছাপ’ যেন ‘কবিতা পিয়াসী মানুষের কাছে’—তার জন্য ‘আমাদের কথা’ শিরোনামে সম্পাদনা পরিষদ লিখেছেন, ‘স্বপ্নের সামুদ্রিক উপকুল ঘেষে জীবনের নামই কবিতা। তাই তো সম্ভাবনাময় মুখোমুখি দাঁড়ায় মানুষেরা। মানুষেরা দীর্ঘকাল শুভ্র অজানায় বসে বুনুক শব্দের সেই ক্কাসিদা—যেখানে কাঁধের হাত দিয়ে হেঁটে যায় সুনীল বাস্তব। সেটা ছড়িয়ে পড়ুক মানুষের জীবনব্যাপী স্বভাবে। এ প্রচেষ্টার আরেক ফসল আমাদের ভাঁজপত্র—যার নাম ‘ছাপ’।

‘ছাপে’ লিখেছেন—আবদুর রেজ্জাক, নুরুল ইসলাম মানিক, রণজিত নিয়োগী, রফিকুল ইসলাম আঁধার, কাকন রেজা প্রমুখ কবি।

সুকান্ত সাহিত্য অঙ্গন গত শতকের আটের দশকের মাঝামাঝির দিকে যাত্রা শুরু। রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জন্মতিথি একটা সময়ে স্কুল কলেজে পালিত হতো। পাড়া বা মহল্লায় ছিল ক্লাবের ছড়াছড়ি। সুকান্ত সাহিত্য অঙ্গন এই তিন দিকপালের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতো। কবি কমল চক্রবর্তী এই অঙ্গনটি গড়ে তুললেও, ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি।

৩১ শ্রাবণ সুকান্ত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় ‘চিত্রচেতনা’ (১৯৮৬), কমল চক্রবর্তীর সম্পাদনায়। তিনটি প্রান্তিকে বের হবার পর আর বের হয়নি। দ্বিতীয় সংখ্যায় লিখেছেন—উদয় শংকর রতন, জীবোন চৌধুরী, সৌমিত্র শেখর, শিব শংকর কারুয়া, প্রদীপ ঘোষ ও মলয় মোহন বল।

উচ্চাটন সাহিত্য পরিষদের ভাঁজপত্র ‘সুড়ঙ্গ’ (২০০৮) সম্পাদনা করেন সৈয়দ মোহম্মদ মেহেদী আসান; আর ‘উপমা’ (২০০৮) সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেন আশরাফুল আলম শান্ত। ‘উপমা’ ৫টি সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে।

‘উত্তরণ’ (২০০৫), ‘আর্তনাদ’ (২০১৭) বের হয় মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদের সম্পাদনায়। তিনি আরো সম্পাদনা করেন সাহিত্যপত্রিকা ‘মুহিম নগরের ট্রেন’ (২০১৮), ‘দিপ্তী’ (২০০৩), ‘সিঁড়ি’ (২০১১)। ‘দিপ্তী’ ১৪/১৫টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।

একক ব্যক্তি মহিউদ্দিন একাধিক কাগজ বিভিন্ন সময়ে সম্পাদনা করলেও, তাঁর কাগজ পরিপক্কতার ছোঁয়া পায়নি। সম্পাদনায় অগোছালো। নিজের কাগজে নিজের ‘মুখচ্ছবি’ দিয়ে প্রচ্ছদ—ব্যক্তি আনন্দ অনুভূত হলেও, সাহিত্য পত্রিকার নিরিখে দৃষ্টিকটু। বেমানান।

সাজ্জাদ মাহমুদ মমিনের ভাঁজপত্র ‘শুভেচ্ছা’ (২০০৭), সবজরখিলার ‘মুক্তাঙ্গন যুব সংঘের’ ভাঁজপত্র ‘মুক্তি’ (?) প্রকাশিত হয় মোখলেছুর রহমানের সম্পাদনায়, রবিন পারভেজের সম্পাদনায় ‘রা’ (১৯৯৮) সালে ভাঁজপত্র আকারে প্রকাশিত হলেও, পরবর্তী ‘রা’ একটি ভালো কবিতাপত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়।

‘র’সিনা আর্ট গ্যালারীর মাসিক ভাঁজপত্র ‘পদাঙ্ক’ প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে শাহ আলম মঞ্জুর সম্পাদনায় এবং শিল্পী বিপুলের আঁকা প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণে। যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, তবুও শিল্প ভাবনায় ভরপুর একটি ভাঁজপত্র। ‘র’ সিনা একটি রঙের নাম। এই রঙটি দেখতে সিঁদুর কমলার মাঝমাঝি একটি রঙ। সেই রঙের নামেই নামাঙ্কিত র’সিনা আর্ট গ্যালারী।

রুবেল খানের ‘মধুকর’ (২০১৯), নূরুল ইসলাম নাযিফের ‘আলের মিনার’ (২০১৯)। একটি ইসলামী সাহিত্য বিষয়ক ভাঁজপত্র। সম্পাদক লিখেছেন, ‘বর্তমানে ইসলামী সাহিত্যচর্চা গতিশীল হলেও, আমাদের শেরপুরে সাহিত্যিকেরা এক্ষেত্রে ঠিক ততটা অগ্রসর নন। ইসলামী সাহিত্য রচনায় তাদের সম্পৃক্ত করতে ‘আলোর মিনারের’ শুভযাত্রা। লিখেছেন—আজাদ সরকার, আশরাফ আলী চারু প্রমুখ।

স্কুল-কলেজে মিলাদ বা সরস্বতী পুঁজা উপলক্ষে খুব একটা ভাঁজপত্র প্রকাশিত না-হলেও, শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের এদিক দিয়ে এগিয়ে। ফি বছর তাঁরা ভাঁজপত্র করছেন। দীপু দে’র ‘পদ্মবীণা’ (২০১৬), শুভঙ্কর সাহার ‘পদ্মপাণি’ (২০১৬) ও ‘বিদ্যাময়ী’ (২০২০) উল্লেখযোগ্য। কলেজ অধ্যক্ষ মহোদয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাণী অর্চনা ও ভাঁজপত্র প্রকাশিত হয়।

বীনাপাণি ভাঁজপত্রে তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান লিখেছেন, ‘বিদ্যার্থীর লক্ষ্য জ্ঞান অন্বেষণ। আর সে জ্ঞান ও বিদ্যা অন্বেষণের জন্য জ্ঞানের ভাণ্ডার ‘বেদ’ তাঁর হাতে রয়েছে। ‘বেদই বিদ্যা’। বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও, সরস্বতী পূজার বর্তমান রূপটি আধুনিক কালে প্রচলিত হয়েছে।

উনবিংশ শতাব্দীতে পাঠশালায় প্রতি বছরের মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে ধোয়া চৌকির উপর তালপাতার তাড়ি ও দোয়াত কলম রেখে পূজা করার প্রথা ছিল। এদিন শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বাংলা বা সংস্কৃতি গ্রন্থ, শ্লেট, দোয়াত কলমে সরস্বতী পূজা করত।

ইংরেজি ম্লেচ্ছ ভাষা হওয়ায় সরস্বতী পূজার দিন ইংরেজি বইয়ের পূজা নিষিদ্ধ ছিল। গ্রামাঞ্চলে এই প্রথা বিংশ শতাব্দীতেও প্রচলিত ছিল। শহরে ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই সরস্বতীর প্রতীমা নির্মাণ করে পূজা করতেন। আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার প্রচলন হয় বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে।’

উক্ত ভাঁজপত্র আরো লিখেছেন শিব শংকর কারুয়া। মূলত তিনিই শিক্ষার্থীদের প্রদায়ক। শুধু পূজা উপলক্ষ্যেই নয়, আরো অন্যান্য সৃজনী কর্মতৎপরতা তিনি নিজে যেমন যুক্ত থেকেছেন, তেমনি শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেছেন।

হোক সে পূজা বা ডিবেট বা কলেজে নাটক ‘হাসির লড়াই’ (২০১৭) মঞ্চায়ন। এমনকি তাঁর নিজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ভাঁজপত্র ‘মুক্ত বিহঙ্গ’ (২০১১) বের করার কাজে শিক্ষার্থীদের প্রেরণা দেন। মুক্ত বিহঙ্গের গোটা তিন সংখ্যা বের হয়েছে। সম্পাদক ছিলেন আবু হানিফ। চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন শিউল আক্তার মিতু।

মুক্ত বিহঙ্গে প্রকাশিত বিলকিছ আক্তার কবিতাটি পড়া যেতে পারে।

.

‘ও পতাকা বন্ধু আমার লাল সবুজে আঁকা

একটি জাতির গর্ব তুমি স্বপ্নে কাজলমাখা।

সাগর গিরি পাহাড়চূড়া কিংবা মহাকাশে

তোমায় দেখি বিশ্ব সভায় সকল জাতির পাশে।’

(বন্ধু আমার : বিলকিছ আক্তার)

.

কলেজের অন্য বিভাগ, তথা বাংলা ও ইংরেজি বিভাগের কাছে আমরা এমন তৎপরতা আশা করি। শুধু সনদের জন্য পড়া নয়, সাহিত্যের রস আস্বাদন ও উৎপাদনেও বাংলা ও ইংরেজি বিভাগ সাহিত্যচর্চার পথ নির্মাণ করবেন—এমন প্রত্যাশা করা অমূলক হবে না নিশ্চয়ই।

কথা হচ্ছিল বীনাপাণি প্রসঙ্গে। সেখানে শিব শংকর কারুয়া লিখেছেন, ‘লাইটিং আর ইটিং অনুষ্ঠানের একটি সামাজিক দিক। দার্শনিক আর মূল্যবোধের দিকটি হচ্ছে মানুষের কল্যাণ সাধনা করা। আমার অবস্থান থেকে মনুষ্যত্বের কল্যাণ সাধন। শুভ বোধ জাগ্রত করা।’

আমাদের শিক্ষা, ধর্মপালন, রাজনীতি তথা যাপনের একেবারে ভেতরকার কথা বলেছেন শিব শংকর কারুয়া। এখানেই শিক্ষার্থীদের ভাঁজপত্র চর্চা ও চর্যার কাজের দিক।

১৯৮৫ সালে ছাত্র ইউনিয়ন জেলা শাখার প্রকাশিত ভাঁজপত্রের নাম ‘ইস্ক্রা’। মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ সমর্থিত বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র বিগ্রেড ছাত্র ইউনিয়ন। স্বাধীনতার আগে যেমন, তেমনি স্বাধীনতার পরও ছোটকাগজ প্রকাশের ক্ষেত্রে এই ছাত্র সংগঠনটি কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।

ছাত্র ইউনিয়ন সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক আদর্শে দীক্ষিত সচেতন ছাত্র প্রাগ্রসর বাহিনী। ইস্ক্রা অর্থ স্ফুলিঙ্গ। নিলয় সাহার সম্পাদনায় প্রকাশিত এই ভাঁজপত্রে লিখেছেন—বিপ্লবী রবি নিয়োগী, শিব শংকর কারুয়া, এস এম মুরাদ, শফিকুল ইসলাম ও সেই সময়ের ছাত্রনেতা সুব্রত সাহা লিপন।

রফিক মজিদের ভাঁজপত্র ‘কবিতা কাগজ’ ১৯৮৯ সাল থেকে পথচলা শুরু। কখনো দলবদ্ধভাবে, কখনো একক, আবার কখনো ‘গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদে’র কেয়ার অফে প্রকাশিত। বলা বাহুল্য অনিয়মিত। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেননি। তবু রফিকের পথচলা কম নয়। আঙুল গুণে গুণে ত্রিশে পা দিল ‘কবিতা কাগজ’।

ধারাবাহিকতা না-থাকলেও, ‘কবিতা কাগজ’ টাউন শেরপুরে বেশি বয়েসি ভাঁজপত্র। দীর্ঘদিন হাল ধরে রেখেছে যে সম্পাদক তাঁকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসভিত্তিক যেমন আছে, তেমনি আছে বইমেলা উপলক্ষে ভাঁজপত্র, কিংবা বর্ষা সংখ্যা, ঈদ বা পুজা উপলক্ষে প্রকাশিত ‘কবিতা কাগজ।’

অক্টোবর ’৯০ সংখ্যায় রফিক লিখেছেন, ‘আমরা ক’জন কবিতাকে নিয়ে যেতে চেয়েছি মানুষের একান্ত সান্নিধ্যে।’ সেই সময়ে রফিকের সাথে ছিলেন—শওকত, নিপু, চঞ্চল ও লাইলি।’ বৈশাখ ’৯৭ সংখ্যায় ভাঁজপত্রে দুইজনের সমাহার। এক রফিক, অন্যজন আজাহারুল ইসলামের কবিতা। এটিই ভাঁজপত্র। পথ চলতে চলতে কেউ কেউ পিছিয়ে পড়ে, কেউ এগিয়ে যায়, কেউ আবার সামনের মোড়ে অপেক্ষারত।

একটা সময়ে ঘাড়ে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে কবিযশ প্রার্থীরা পাঠকের দ্বারে দ্বারে নিজেদের প্রকাশিত কাগজটি পৌঁছে দেবার যে তাড়না তাদের মনের ভেতর খেলা করত; এ শতাব্দীর তরুণদের সে তাড়নায় তাড়িত হতে খুব একট দেখি না। পাঠকের কাছে পৌঁছাবার যে কসরত তা আজকের স্থানিক তরুণদের মাঝে নেই। ফেসবুকে কবিতা পোস্ট আর ‘লাইক কমেন্টস’ দিকেই নজর বেশি। কে ভাঁজপত্র করল, না-করল—সেদিকে আগ্রহ নেই।

আশি নব্বই দশকের কবিরা পাঠকের দ্বারে পৌঁছালেই যেসব পাঠক কিনতে—তা ঠিক নয়; সবাই যেতো তাও নয়—তবে নতুন লিখিয়েদের পাঠক চিনতো। নতুন ম্যাগাজিন পেলে পাঠক যেমন কবিকে উৎসাহ দিতেন, তেমনি তাকে হাসি-মস্করাও সহ্য করতেন। সেটি তরুণদের সহ্যও করতে হতো। দুই অর্জনই কবির সাধারণ সামাজিক প্রাপ্তি। পুশিং সেল দিয়েও, কবি গোপন আনন্দ পেতেন।

বর্তমানে স্থানিক কবিযশ প্রার্থীদের এই প্রাপ্তিযোগ নেই। সেই দায়ও বহন করেন না। স্থানিক পর্যায়ে পাঠক-কবির মাঝে যোজন যোজন দূর, যেন ‘রেল লাইন বহে সমান্তরাল।’

ভাঁজপত্রে প্রকাশিত কয়েকটি লেখা—

.

অ.

মরা গাঙে পানি নেই

ধূ ধূ বালুচর

নদীর বুকে চাষের ফাঁকে

কৃষক তুলছে ঘর।

(রফিক মজিদ)

আ.

বর্ষাস্নাত কদমফুলের

কোমল পাপড়িগুলো

মুঠোয় পুরে দাঁড়াবো

আমার আজন্ম লালিত

রাজপুত্রের সামনে।

(জান্নাতুল রিকসনা)

ই.

চারিদিকে থৈ থৈ জল

কত ফুলের মেলা

বর্ষাকালে দিনরাত

জেলে—মাছের খেলা

(রুবেল খান)

.

(চলবে)

…………………

পড়ুন

কবিতা

রাংটিয়া সিরিজ : জ্যোতি পোদ্দার

তিলফুল : জ্যোতি পোদ্দার

জ্যোতি পোদ্দারের কবিতা

প্রবন্ধ-গবেষণা

টাউন শেরপুরে প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী

শেরপুরে ছোটকাগজ চর্চা

১ম পর্ব । ২য় পর্ব । ৩য় পর্ব । ৪র্থ পর্ব । ৫ম পর্ব । ৬ষ্ঠ পর্ব । ৭ম পর্ব । ৮ম পর্ব । ৯ম পর্ব । ১০ পর্ব । ১১তম পর্ব । ১২তম পর্ব । ১৩তম পর্ব । ১৪তম পর্ব । ১৫তম পর্ব । ১৬তম পর্ব । ১৭তম পর্ব । ১৮তম পর্ব । ১৯তম পর্ব । ২০তম পর্ব । ২১তম পর্ব । ২২তম পর্ব । ২৩তম পর্ব । ২৪তম পর্ব । ২৫তম পর্ব । ২৬তম পর্ব । ২৭তম পর্ব  । ২৮তম পর্ব  । ২৯তম পর্ব  । ৩০তম পর্ব  । ৩১তম পর্ব  । ৩২তম পর্ব

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...