shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

তাহারা অদ্ভুত লোক

Retail talk all around
How many problems I am in
খুচরো কথা চারপাশে

তাহারা অদ্ভুত লোক

সুনীল শর্মাচার্য

তাহারা অদ্ভুত লোক

তথাকথিত সেলিব্রেটি আসলে সেলিব্রেটি নন

ভারতীয় সেলিব্রেটিরা প্রতিষ্ঠাবান স্ব স্ব ক্ষেত্রে এবং প্রতিষ্ঠা পেতে যা যা করা দরকার—তা তারা করেন একান্ত নিজের স্বার্থে। আর শাসকের স্নেহ-আদরে, নেকনজরে থেকে তথাকথিত সরকারি নজরানা বা পুরস্কার লোটেন! আর নিজেদের বিজ্ঞাপিত করেন।

অর্থ, সুখ, সম্মান ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কোনো সেলিব্রেশন নেই! ব্যতিক্রম হয়তো আছে। তাও হাতে গোনা। কয়েকজন।

আসল সেলিব্রেটি তো তিনি, যিনি মানুষের জন্য কাজ করেন, মানুষের পাশে থাকেন, দেশের স্বার্থে শাসকের অপশাসনের প্রতিবাদ করেন। নিপীড়িত মানুষের পাশে, তাদের লড়াইয়ে থাকেন।

ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, বিশ্বের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় তথাকথিত সেলিব্রেটিগণের অধিকাংশ তা নন, তারা বরং শাসকের পক্ষে থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পছন্দ করেন।

এদের সেলিব্রেটি বলা যায় না, বড় জোর শাসকের লোক বলা চলে। আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে এরা থাকেন না, থাকেন শাসকদলের পক্ষে। শচিন, সৌরভ, অক্ষয় কুমার-রা নিজ ক্ষেত্রে যতই প্রতিষ্ঠিত হোন, তারা সেলিব্রেটি নন!

তাহারা অদ্ভুত লোক
দল বদলে ভারতীয় নেতাগণ

ভারতের অধিকাংশ নেতাগণ খুব বিত্তশালী। ১৩০ কোটি মানুষের ধনসম্পদের সিংহভাগ এইসব নেতাগণ লুটে ধনী হয়েছেন। কেউ চরিত্রবান নন, সৎও নন। স্বার্থে ঘা-লাগলে তারা নির্লজ্জের মতো দল ত্যাগ করেন এবং শাসকদলে যোগদান করে নিজের লুণ্ঠিত ভাণ্ডার সুরক্ষিত রাখেন।

দুর্নীতি, অপরাধ ধামাচাপা দিতে এর থেকে সহজতর পদ্ধতি কি আর আছে? আবার তারা দল ত্যাগ করে বলে থাকেন যে, অমুক দলে থেকে জনগণের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না-বলে তার দল বদল। এর মতো হাস্যকর কথা কি আর হতে পারে?

দল ত্যাগ করে তারা যেন ধোয়াতুলসীর পাতা হয়ে পড়েন। জনগণকে বোকা ভাবেন। উঠতে বসতে জনগণকে ধোঁকা দেন! আর নিজ স্বার্থ সুরক্ষিত করেন। ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীগণ এখন নিজ স্বার্থে, পরমার্থের ভজনা করেন।

এত সম্পদ কি করে তারা অর্জন করেন তা জনগণ বুঝতে পারে। তারা অধিকাংশ দুর্নীতিগ্রস্থ, লুটেরা, মাস্তান, খুনি আর অত্যাচারী! ক্ষমতালোভী তারা। ইদানীং তাদের দল বদলের পালাগানে ভারতীয় রাজনীতির অঙ্গন সরগরম!

তাহারা অদ্ভুত লোক
চিরঘৃণাজীবী

বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটা নতুন কথা উপহার দিয়েছেন—আন্দোলনজীবী। সংসদে দাঁড়িয়ে। যে-সংসদকে বলা হয় গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্থান, চর্চাকেন্দ্র। কোনো রকম আন্দোলন নেই, কিন্তু গণতন্ত্র আছে, এমন দেশ পৃথিবীতে পাওয়া যাবে না।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, যাঁরা আন্দোলন করেন, আন্দোলনজীবী, তাঁরা পরজীবী। যেখানেই সুযোগ পান, সেখানেই জুড়ে যান। (ভুলে যান, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতাগণ জনগণের টাকায় খাওয়া-পরা, চলাফেরা করেন রাজকীয় ভাবে, তাঁরাই তো প্রকৃত পরজীবী)!

সেই জন্য, যোগেন্দ্র যাদব সরাসরি বলেন, ‘আন্দোলনজীবী বলতে যা বোঝাচ্ছেন, সে-জন্য, তা হওয়ার জন্য আমি গর্বিত।’ বলা বাহুল্য, যোগেন্দ্র যাদবের জন্য আমরা, ভারতবাসী গর্বিত।

প্রধানমন্ত্রী কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বললেন? যখন সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর সীমান্তে লক্ষ লক্ষ কৃষক বসে আছেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে। প্রবল ঠাণ্ডায় জলকামান চালানো হয়েছে। কাঁপতে কাঁপতেও দৃঢ় থেকেছেন কৃষকরা। দেওয়াল তুলে, কাঁটাতার দিয়ে, সিমেন্টে পেরেক পুঁতে পথ রুদ্ধ করেও দমন করা যায়নি।

অন্নদাতাদের আন্দোলনজীবী বলে মজা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অখিলেশ যাদব বললেন, ‘রামমন্দিরের নামে কোটি কোটি টাকা তুলছে বিজেপি-আরএসএস, তাহলে কি আপনারা চাঁদাজীবী?’

এবার ভারতীয় ইতিহাসের দিকে তাকাই। ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পরে। কী বলছেন প্রধানমন্ত্রী, তাহলে কি গান্ধীজি আন্দোলনজীবী? পরজীবী? নেতাজিকে কী বলবেন? আন্দোলনজীবী? পরজীবী? বলুন তো, ভগৎ সিং আন্দোলনজীবী? পরজীবী?

তাহলে বলতে হয়, যুগে যুগে ওঁরা থাকুক। আন্দোলন চিরজীবী হোক। আর আরএসএস, বিজেপি, আপনাদের ইতিহাসে আপনারা হোন চিরঘৃণাজীবী!

…………………

পড়ুন

কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ

লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য

সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি

গল্প

উকিল ডাকাত : সুনীল শর্মাচার্য

এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প: সুনীল শর্মাচার্য

আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য

প্রবন্ধ

কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য

ধর্ম নিয়ে : সুনীল শর্মাচার্য

মুক্তগদ্য

খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য

কত রকম সমস্যার মধ্যে থাকি

শক্তি পূজোর চিরাচরিত

ভূতের গল্প

বেগুনে আগুন

পরকীয়া প্রেমের রোমান্স

মুসলমান বাঙালির নামকরণ নিয়ে

এখন লিটল ম্যাগাজিন

যদিও সংকট এখন

খাবারে রঙ

সংস্কার নিয়ে

খেজুর রসের রকমারি

‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে

মোবাইল সমাচার

ভালো কবিতা, মন্দ কবিতা

ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন

বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে

দাড়ি-গোঁফ নামচা

নস্যি নিয়ে দু-চার কথা

শীত ভাবনা

উশ্চারণ বিভ্রাট

কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা

ভারতীয় ঘুষের কেত্তন

পায়রার সংসার

রবীন্দ্রনাথ এখন

কামতাপুরি ভাষা নিয়ে

আত্মসংকট থেকে

মিসেস আইয়ার

ফিরবে না, সে ফিরবে না

২০২১-শের কাছে প্রার্থনা

ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা

রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ

কবিতায় ‘আমি’

ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত

ধুতি হারালো তার কৌলীন্য

ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা

পৌষ পার্বণ নিয়ে

প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে

শ্রী শ্রী হক কথা

বর্তমান ভারত

ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা

ইন্ডিয়া ইউনাইটেড বনাম সেলিব্রিটিদের শানে-নজুল

ডায়েরির ছেঁড়া পাতা

অহল্যার প্রতি

উদ্ভট মানুষের চিৎপাত চিন্তা

তাহারা অদ্ভুত লোক

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...