shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

দেশে সাড়ে ৩ মাসে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বনিম্ন শনাক্তের হার

coronavirus
coronavirus-bd

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার সর্বনিম্ন। আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২০) নমুনা পরীক্ষায় ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ১৯ মে এর চেয়ে কম ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময় মারা গেছেন ৩২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত করার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কমেছে। এ পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৩৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা।

এর আগের দিন ১৫ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৮টি নমুনা।

আজ বৃহস্পতিবার দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন।

গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২০) ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৮২ জনের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। ওই সময় মারা যান ৩৫ জন। তথ্যমতে, দেশে ৯৩টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

আরো নির্দেশনা

যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।

তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।

নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...