গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী একজন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ হাজার ৯৮৩ জনে।
আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর ২০২০) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩টি ল্যাবরেটরি থেকে ১৪ হাজার ৭৩২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬৩ জনে।
নমুনা পরীক্ষায় নতুন এক হাজার ৬৫৯ জন রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ১২ হাজার ৬৪৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৮৮৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ জন।
এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৯২ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন ও ষাটোর্ধ্ব আটজন।
বিভাগানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে চারজন এবং ময়মনসিংহে বিভাগে দুজন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আছে বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং লোকসমাগম এড়িয়ে চলা। এই সব কটি একসঙ্গে মেনে চলতে হবে।
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের প্রাণহানি। আরো নির্দেশনা
যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।
তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।
জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু