shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত, পর্ব ৩

Little Ghost
Little Ghost

শিশুতোষ উপন্যাস, ধারাবাহিক—পর্ব ৩

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

আফরোজা অদিতি

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

বাড়ি ফিরে এলো নিলেশ। বাড়ি ঢুকতেই সবাই হা-হা করে এগিয়ে এলো। সকলের উদ্বিগ্ন মুখ। বাবাকে আশেপাশে কোথাও দেখতে পেলো না নিলেশ। কথা বলছে না মা। নিলেশ বুঝলো রেগে আছেন মা। কথা বললেন দাদিমা। ‘গিয়েছিলে কোথায় দাদুভাই? বাবা তো চিন্তায় অধীর হয়ে খুঁজতে বেরিয়েছে।’

‘সরি, ভেরি ভেরি সরি আপুনি, একটু দেরি হয়ে গেল।’ আদুরে কণ্ঠ নিলেশের। এবারে মা বললেন, ‘যাবে আর আসবে বলে সেই বেরিয়েছ আর এলে এখন।’ কোনো কথা না-বলে লজ্জিত মুখে দাঁড়িয়ে রইলো নিলেশ। এ ছাড়া উপায় নেই, কারণ এখন অদৃশ্য কণ্ঠের কথা বলতে পারবে না; কেউ তা বিশ্বাস করবে না।

নিজের ঘরে যাওয়ার আগে মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো; বলল, ‘মা, মা, ক্ষমা করে দাও আমাকে। একটু দেরি হয়ে গেছে। তুমি রাগ করলে আমার দিন ভালো যায় না মা।’ মা মুখ না-তুলেই বললেন, ‘যাও ঘরে যাও। ঐ ছেলে কী করছে দেখ গিয়ে।’ নিলেশ ঐ ছেলেটির কথা ভুলেই গিয়েছিল; তাড়াতাড়ি ঘরে এলো। তখনো ঘুমাচ্ছে ছেলেটি। ওকে ডেকে তুললো নিলেশ।

বারান্দায় রাখা খাবার টেবিলে সকলে। সেখানে তিনটি চেয়ার। টেবিল দেয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে রাখার জন্য চেয়ার তিনটির বেশি রাখা যায় না। ওপাশে দেয়ালে সোফা আছে একটি। ঐ সোফায় দুজন বসা যায়। ওখানে বসে হাতে প্লেট নিয়ে খাওয়া যায়। অসুবিধা হলেও ধরা হয় না; কয়েকদিনেরই তো ব্যাপার মাত্র।

ওরা বাড়িতে এলে গ্রামের পরিচিত জনের আসা-যাওয়া চিরাচরিত ব্যাপার! এ বাড়িতে যারা আসে, সকালে তাদের জন্যও নাস্তা বানানো থাকে। ওরা যতোদিন বাড়িতে থাকে, দাদিমা গ্রামের কয়েকজন মহিলাকে ডেকে আনে; ওরাই কাজ করে দেয়।

ঘর ঝাড় দেওয়া থেকে রান্না করা কাপড় ধোওয়া সবই ওরাই করে। ওর মাকে কাজ করতে দিতে চায় না। তবুও কাজ করে মা। সকালে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গ্রামের কয়েকজন এসেছেন; তাদের জন্য উঠানে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাবাও ফিরে এসেছেন।

নিলেশ আর ছেলেটি উঠে ঘরের ভেতর চলে গেল, যাতে সবার বসার জায়গা হয়ে যায়। খেতে খেতে নিলেশ ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে, ‘তোমার নাম তো অভীক বলেছো, কিন্তু ঐ নদীর পাড়ে তুমি কেমন করে এলে—তা তো বললে না? বাসা কোথায়? বাসাতে কে কে আছে?’

ওর কথা শুনে অভীক বলে, ‘বাসা মগবাজার। বাবা ব্যবসা করে, মা মাস্টারি করে। তবে এখানে কেমন করে এসেছি, তা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। তবে ঘটনাটা বলতে পারি; কী হয়েছিল সেদিন।’ অভীক সেদিনের ঘটনা বলে গেল একটুও না থেমে।

‘টেলিভিশনে মুভি দেখছিলাম। রোববারের মুভি। এইচবিও-তে। মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম। স্নায়ু টানটান। থ্রিল, জমাট গল্প। বড় বোন নিপা খেতে ডাকছে, কিন্তু আমার যেতে ইচ্ছা করছে না। ওই মুহূর্তে টিভি ছেড়ে খেতে যাওয়া কখনোই সম্ভব নয় আমার পক্ষে, আপু বিরক্ত হয়ে গেছে। নিপা আপুর বিরক্তি ভরা কথা কানে আসছে আমার, তবুও যেতে ইচ্ছা করছে না।

ওদিকে একা একাই কথা বলছে আপু, পড়াশুনা নাই, কেবল টিভি, টিভি আর টিভি! তারপরে আছে ঘুম! অথচ আজ বাদে কাল পরীক্ষা। আবারো ডাকে নিপা আপু। এই অভী, তাড়াতাড়ি আয়। রাগে কটমট করছে আপু।

মা ছিল না বাসাতে; নানীকে দেখতে রংপুর গিয়েছিল। নানীর অসুখ। মা বাসায় নাই, তাই ভাই- বোনের দেখ-ভাল করার ভার আপুর উপরে ছিল। আমরা দুই বোন এক ভাই। আমি ছোট। নিপা আপু বারবার ডাকছিল, আর আমি বলছিলাম—আর একটু আর একটু আপু। এই যে…

আমি পুরো কথাটা শেষ করতে পারিনি, তার আগেই কারেন্ট চলে গেল। কারেন্ট যাওয়ার সঙ্গে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের মতো একটানা ঝিঁঝিঁর ডাক শুনতে পেলাম। ঐ শব্দে কান ঝিমঝিম করতে থাকে আমার, তারপর একসময় কথা শুনতে পাই না। মনে হয় কথা শোনা বন্ধ করে দিয়েছে আমার কান।

অনেকক্ষণ কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। কানে আঙুল দিয়ে ঝাঁকাতে থাকি, কিছুই হয় না। অন্ধকারে কিছু দেখতেও পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ, কিছুক্ষণ খুলে রাখছিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ আর চোখ খোলার পর হঠাৎ লক্ষ্য করি চারদিক অন্ধকার, কিন্তু টিভি চলছে। বিস্মিত হয়ে আপুকে ডাকি।

‘আপু দেখে যাও, কারেন্ট নেই, টিভি চলছে।’

‘কারেন্ট নাই, টিভি চলে। ফাজলামি হচ্ছে।’ আপু রাগ করে। এমনিতে অনেক কাজ বাঁকি আছে, তারপরে কারেন্ট চলে গেল। কারেন্ট গেলেই মেজাজ খারাপ হয় আপুর।

‘আপু, তাড়াতাড়ি এসো, টিভির ভেতর কারা যেন কথা বলছে। কোনো অনুষ্ঠান না আপু।’

আপু আমার কথা শুনে বলল, ‘দাঁড়া, মোম নিয়ে আসি। মোম তো খুঁজে পাচ্ছি না রে, অভী। প্রতিদিন এই কারেন্ট যাওয়া চাই-ই।’

‘আপু, আপুরে, তাড়াতাড়ি..’ ভয়ার্ত কণ্ঠে চিৎকার করি আর আপুকে ডাকতে থাকি।

‘আপাকে ডেকো না।’ গম্ভীর এক কণ্ঠস্বর বাম দিকে কানের পাশে বেজে ওঠে। রোবটের মতো যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর। চমকে ওঠি।

‘কে, কে, কে ওখানে?’ ভয়ে চিৎকার করি।

‘আমি। চুপ, একদম চুপ। কথা বলবে না। চল।’

‘কোথায়? আমি যাবো না। আপু…’ কান্না জড়ানো কণ্ঠে আপুকে ডাকি, ওকে ডেকে বলতে চাই কারা যেন আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি এসো, কিন্তু কথা শেষ করতে পারি না।

‘আবার তোমার আপুকে ডাকছো। কোনো লাভ নেই। চল।’ রোবট কণ্ঠস্বরে এমন কিছু ছিল, আমি আর কোনো কথা বলতে পারলাম না। ঐ কণ্ঠস্বরকে দেখতেও পাচ্ছিলাম না। ঐ কণ্ঠস্বর একটা হাত ধরে আমার। কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। শুধু স্পর্শ বুঝতে পারছি।

ওর হাতে যে স্পর্শ, সে স্পর্শে মাংসপেশী নেই, কিংবা যন্ত্রও নয়। আবার ঠাণ্ডাও নয়, গরমও নয়! আমার শরীর শিরশিরিয়ে ওঠে ভয়ে, নিঃশেষ হয়েছে ইচ্ছাশক্তি। অদৃশ্য কণ্ঠস্বর হাত ধরে টানে, ওর টানে টিভির সামনে এসে দাঁড়াই।

‘চল।’ কথার সঙ্গে হাতে আবার একটা টান অনুভব করি। তারপর চলতে শুরু করি। আমি হাঁটছি, হাঁটছি। মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাঁটছি। অনেকক্ষণ হাঁটলাম। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। না মানুষ না আশেপাশের কিছু, কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। শুধু সামনে পায়ের শব্দ শুনছি।

কেউ যেন পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। পায়ের শব্দ যেদিকে যাচ্ছে, আমার হাত ধরে রাখা সেই কণ্ঠস্বরের সঙ্গে আমিও সেদিকেই যাচ্ছি। অনেকক্ষণ হেঁটেছিলাম। আর হাঁটতে পারছিলাম না। সামনের পায়ের শব্দ লক্ষ্য করে বলি, ‘কোথায় যাচ্ছি আমরা।’

‘চুপ! কথা বলতে নিষেধ করেছি না!’ রোবট কণ্ঠে রাগ ঝরে।

‘চুপ করে তো থাকতে পারছি না। কোথায় যাবো বল।’ অসহায় ভীত কণ্ঠে বলি।

‘দেখ, চুপ করে থাক। যদি চুপ করে থাক, কথা না বল, তাহলে কিছু বলবো না। আমাকে যদি বিরক্ত করো তবে শাস্তি দিবো।’

কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। অন্ধকারে কোথায় এসেছি, তাও বুঝতে পারছিলাম না। পা ব্যথা করছিল, পায়ের তালু ভেজা ভেজা লাগছিল। জ্বলছিল, কেটে গিয়েছে মনে হলো। আর কাটা জায়গায় পানি লাগাতে জ্বলছিল। এখানে ভেজা কেন? বৃষ্টি হয়েছে নাকি? বৃষ্টি হলে তো বুঝতে পারতাম। বৃষ্টি হয়নি অথচ ভেজা।

হঠাৎ মনে হলো আমাকে কোনো পানির কিনার দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভেজা বালি, সাগর সৈকতের বালি। সৈকতের বালি জোয়ার এলে ভিজে যায়, আর জোয়ার চলে গেলে শুকিয়ে যায়। আমি বুঝতে পারলাম সাগরের ধার দিয়ে সৈকতের বালির ওপর দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এখন জোয়ারের সময়।

কথা ভাবতে ভাবতেই জোয়ার এসে পা ভিজিয়ে দিলো আমার। আমি হাঁটছি, পায়ের ব্যথা সহ্য করে হাঁটছিলাম। হঠাৎ শক্ত চোখা মতো কিছুতে পায়ে আঘাত পেয়ে চিৎকার করে ওঠি।

‘উঃ, মাগো। আর চলতে পারছি না। আর কতোদূর?’ ব্যথায় কাতর হয়ে বলি।

‘এই আর একটু।’ এবার খুব দরদমাখা কণ্ঠস্বর। ‘আর একটু চলো তোমার ভালো হবে।’

আরো কিছুক্ষণ হাঁটি। হাঁটার পরে অন্ধকার থেকে আলোর মাঝে এসে দাঁড়াই। সামনে নদী। চাঁদের আলোতে চিকচিক করছে পানি। নদীর পাড়ে বসি।

‘এই বসলে কেন? ওঠো।’ অদৃশ্য কণ্ঠস্বরের কথা শুনি।

‘না, আর যাবো না। যেতে ভালো লাগছে না। তা ছাড়া আমি হাঁটতেও পারছি না।’ বলি আমি।

‘ওঠো, ওঠো। আর একটু।’ পায়ে মাংসপেশীবিহীন না-ঠাণ্ডা না-গরম স্পর্শ পাই। স্পর্শ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, পায়ের ব্যথা সেরে গেছে আমার!

‘এবারে ওঠো। পায়ে তো আর ব্যথা নেই। এবারে না উঠলে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দিবো কিন্তু।’ কণ্ঠস্বরে একটুও রাগ নেই—মনে হতে সাহস করে বললাম, ‘না, এখন উঠতে ভালো লাগছে না আমার। আমি উঠবো না।’

আমার কথা শেষ হতে-না-হতে ধাক্কা অনুভব করি, তারপর হাবুডুবু খেতে থাকি নদীতে। ভালো সাঁতার জানি না। সবেমাত্র সাঁতার শিখতে ভর্তি হয়েছি। জাতীয় পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছাতে সাঁতারে ভর্তি হওয়া। আর একটি ইচ্ছা হলো পদ্মা নদী সাঁতরে পার হওয়া।

সাঁতার ভালো না জানায় নদীতে হাবুডুবু খাই। রাতের কারণে সাঁতরাতে পারছিলাম না। নদীতে এতো স্রোত, পাড় থেকে বুঝা যায়নি। ডুবে যাচ্ছিলাম। ডুবে গেলে মারা যাবো এ-কথা মনে হতেই কান্না পেতে থাকে। মনে হতে থাকে কেন যে আপুর কথা শুনিনি। আপুর ডাকে যদি খেতে যেতাম তাহলে তো এই বিপদে পরতে হতো না। ‘আপু, আপু, আপুরে…’ বারবার ডাকি আপুকে।

আপদে-বিপদে সবসময় আপুকেই ডাকি আমি। ওকে ডাকি আর বলি, ‘আপু, আর তোমার কথার অবাধ্য হবো না। এবারের মতো ক্ষমা করে দাও আপু। ও আপু, আপুরে…’

আমি একবার ডুবছিলাম, একবার ভাসছিলাম। যদিও ওর মনে হচ্ছিল বাঁচবো না, তবুও বেঁচে থাকার আশা ছাড়িনি। ডুবতে ডুবতে, ভাসতে ভাসতে একসময় শরীরটাকে হালকা মনে হয়। মনে হয় আমি যেন পানিতে নেই। যেন ঘাসের ওপর শুয়ে আছি।

আকাশে বড় গোল চাঁদ, পূর্ণিমা। চারদিকে চাঁদের আলো ঝলমল করছে। আমার মনে হলো আমি যেন উঠে বসলাম, মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি রূপ দেখতে দেখতে ভাবলাম—প্রকৃতি আমাকে এতো সুন্দর দৃশ্য উপহার দিবে ভাবতেই পারিনি। দুই হাত তুলে ধন্যবাদ দিলাম উপরওয়ালাকে। এরপরের ঘটনা তো সব তোমার জানাই।’

ওর সব কথা শোনার পরে নিলেশ বলল, ‘অভীক, তুমি কী করো, বাবার নাম কী তাই বলো।’ অভীক বলল, ‘আমার বাবা একটি ব্যাংকে চাকরি করে। ঢাকার বাসাবোতে থাকি। স্কুলে পড়ি। আমার মা-ও ব্যাংকে চাকরি করে। ভাইবোনদের কথা তো বলেছি, দুই ভাই এক বোন। আমার বোন ইউনিভার্সিটিতে আর ভাই কলেজে।’

ওর কথার মধ্যে গড়মিল লক্ষ্য করে নিলেশ। এইমাত্র বলল, ওরা দুই বোন এক ভাই। এখন আবার বলছে দুই ভাই এক বোন। বাসা আবার বলছে বাসাবোতে। একটু আগেই বলেছিল, বাসা মগবাজার। বলেছিল ব্যবসা করেন বাবাম আর স্কুলে চাকরি করেন মা। এখন বলছে বাবা-মা দুজনেই চাকরি করেন ব্যাংকে। এই ব্যাপারে কিছু বলল না।

শুধু বলল, ‘ঠিক আছে, তুমি রেস্ট নাও। আমরা ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় তোমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবো, তোমার বাসা খুঁজে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। তুমি শুয়ে থাকো, আমি আসছি।’ নিলেশ বাগানে যায়। অদৃশ্য কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।

(চলবে) নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

………………… নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

পড়ুন

কবিতা

আফরোজা অদিতির পাঁচটি কবিতা

গল্প

রাত ভোর হতে আর কত দেরি

শিশুতোষ উপন্যাস

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত : পর্ব ১পর্ব ২, পর্ব ৩

মুক্তগদ্য

অর্থ এক বিলাসী প্রেমিক

ভ্রমণ

গোকুল মেধ বা বেহুলার বাসরঘর

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণকথা

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণকথা – ২য় পর্ব

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির ও রাণী রাসমণি

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির ও রাণী রাসমণি – ২য় পর্ব

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...