shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

নিহিত কথামালা

Retail talk all around
How many problems I am in
খুচরো কথা চারপাশে

নিহিত কথামালা

সুনীল শর্মাচার্য

নিহিত কথামালা

জাতের নামে বজ্জাতি করেই দেশের রাজনীতিবিদরা আমাদের, দেশের, সর্বনাশ করেছে, এখনো করছে!

নিহিত কথামালা

শুনি, নটীদেরও লাজলজ্জা, বিবেক বলে একটা মর্যাদা থাকে, কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের দেখি তাও নেই!

নিহিত কথামালা

ডিগ্রি সর্বস্ব শিক্ষা, অর্থ সর্বস্ব ভোগবাদ আর পুঁজি সর্বস্ব শিল্লপতি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদরা পৃথিবীর মানুষ-সমাজকে আরো বেশি আত্মকেন্দ্রিক, আরো বেশি অমানবিক করে তুলেছে!

নিহিত কথামালা

আজ তুমি যাকে তুচ্ছ ভাবছ, একদিন সেই তুচ্ছ বিরাট হতে পারে!

অহঙ্কার ভালো, কিন্তু ঔদ্ধত্য ভালো নয়!

.

ভারতীয় রাজনীতিতে দেখছি—ঘাটের মড়াদের দাপাদাপি!

ক্ষমতার লোভ শ্মশান অবধি।

তরুণ প্রজন্মের আহ্বান নেই, ভূমিকাও নেই!

.

রাজা যখন প্রজা পালন ছেড়ে প্রজা শাসনে বেশি ব্যস্ত হয়ে পরে, তখন সে-রাজার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে!

.

‘একতা’ শব্দটি শুনলেই চমকে উঠি! কারণ, ‘একতা’ শব্দটি এখন সমাজকে বিভক্ত করে নিচের দিকে টেনে নামাচ্ছে!

.

চিনি না-থাকলে পিঁপড়া নেই!

টাকা না-থাকলে দলে লোক নেই!

.

নিজের অপদার্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে সাধু সাজা যায় না!

পাবলিক সব বোঝে…

.

১০

কুকুরদের নাকি নির্দিষ্ট এলাকা থাকে। এক এলাকার কুকুর অন্য এলাকায় ঢুকলে কুকুরদল জোট বেঁধে তাকে তাড়া করে এবং এলাকা ছাড়া করে। আর ঘেউ ঘেউ শব্দে মাথাখারাপ করে!…

আমাদের দলতন্ত্র কি সেই দিকেই যাচ্ছে? বিরোধীদল একদল একদম সহ্য হচ্ছে না!

.

১১

স্বর্গ-নরক বলে কিছু নেই! সব এই পৃথিবীতে—

যা এক জন্মেই শেষ হয়!

.

১২

আমাদের সমাজের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী

রাজনৈতিক নেতারা…

.

১৩

পৃথিবীতে কেউ নয় চিরায়ত, তুমিও থাকবে না

অদ্বিতীয়!

.

১৪

করোনা থেকেও ক্ষুধা আরো ভয়ানক হতে চলেছে…

.

১৫

আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের আজ আর আদর্শের বালাই নেই! নীতি নেই। সত্য নেই—যা আছে তা মিথ্যের ফুলঝুরি! স্বার্থের কচকচি! ক্ষমতা পাবার জন্য লোক দেখানো আন্দোলন। মিছিল। গল্পবাজি।

দেশের হিতে, মানুষের হিতে আর নেই রাজনীতি!

.

১৬

যাহারা ভাবিতেছেন, এখনই রাজনীতি করিবার প্রকৃত সময়!

তাহারা জানিতে পারিতেছেন না যে, ইহাই তাহাদের মৃত্যুর সময়…

.

১৭

ভোটের সময় শুধু গরীবদের কথা, তাদের দুঃখে মায়াকান্না!

ভোট লুটে ক্ষমতা পেলেই গরীবদের ভুলে যাওয়া।

এই তো এই উপমহাদেশের রাজনীতির সত্যটা!

.

১৮

আমাদের চারপাশে এখন সব থেকে পরিশীলিত চতুর মানুষ। অন্যের সরল বিশ্বাসকে ঠকিয়ে তারা টাকা-পয়সা হাতিয়ে ভোগের জীবনযাপন করে। নিজেদের কৃতকর্মের পাপ বেমালুম ভুলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।

কাউকে ঠকালে, চিট করলে একদিন তাকেও তার কৃতকর্মের জন্য চরম মূল্য দিতে হয়, অসীম দুঃখ-কষ্ট, রোগভোগ করতে হয়। প্রকৃতি, পৃথিবী সেই নিয়ম নিয়ন্ত্রণ করে। এটা তারা ভুলে যায়। নিজের পাপে একদিন পুড়ে মরে।

.

১৯

নৃশংস স্বৈরাচারী শাসক সূক্ষ্ম কায়দায় মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ধর্মের আবেগকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

তাদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের দুঃখকষ্ট, রুজিরুটির সংস্থানের কথা নেই। গ্যারান্টি নেই। মমতাও নেই। সৎ উদ্দেশ্যও নেই।

.

২০

আমরা সাধারণ মানুষ কি তাঁদের চোখে শুধুই ভোটার?

মানুষ না?

.

২১

আমাদের দেশে আইনকানুন যত প্রণয়ন হয়—তা কেবল ধনী, শিল্পপতি, ব্যবসাদারদের জন্য এবং

তা দুর্যোগ বলো, হাতাখুনতি যাই বলো—সবই শ্রমজীবী, সাধারণের বিরুদ্ধে প্রয়োগের জন্য!

.

২২

ভারতীয় গণতন্ত্র? সে তো রাজতন্ত্রের ছায়ারূপ!

.

২৩

দাসপ্রথা কি আবার ফিরে আসছে??

.

২৪

মন ভালো নেই! চারদিকে অস্থিরতা! খুন, পাল্টা খুন। পুলিশের বর্বরতা, কথা বলার অধিকার খর্ব করা। প্রতিবাদ, আন্দোলন রোখার চেষ্টা। দীর্ঘ ক্ষমতা দখলে রাখার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা…।

প্রতিনিয়ত হানাহানি দেখে, টাউট-বাটপারদের বাড়াবাড়ি দেখে, বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা দেখে—বোবা!

কোন দেশে আছি গো মা!!

.

২৫

আজব এক জাতির অদ্ভুত মানুষ সব! যখন যা ধরে বা করে, সবাই পাগল হয়ে ধরতে থাকে বা

করতে থাকে। এটাই এখন দস্তর! সবাই সেলিব্রেটি হতে দৌড়াচ্ছে।

আরো ভয়ঙ্কর, লাইভে আসার আগে সবাই সপাটে জানিয়ে দিচ্ছে, অমুক সময়ে আসছি আমি, বন্ধুরা  থাকছেন তো? এর পরেও আছে অনুরোধের ফোন, ‘থেকো, কিন্তু!’

অথচ ভালো লেখা, ভালো গান, ভালো আলোচনা, ভালো বিশ্লেষণ, ভালো অর্থবহ গভীর মন্তব্য তো হাতে গোণা!

ফেসবুকে লাইভ চলুক আপত্তি নেই, তবে নিজস্ব শিল্পকলায় আর একটু মনোনিবেশ করলে কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-গায়কদের আর একটু বেশি উপকার হতো!

.

২৬

মিথ্যে দিয়ে আজকাল সত্যকেও ঢেকে দেওয়া যায়।

মিথ্যে বারবার শাসককুল ব্যবহার করে—তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়!

.

২৭

ইহাই দেখিতে পাইতেছি যে, একমাত্র হিন্দু ধর্মেই বর্ণবিভেদ এত বেশি যে, তাহা দিয়া সমগ্র ভারতবাসীর কল্যাণ সাধন হইবে না কোনোদিনও!

.

২৮

প্রত্যেকের একান্ত আশ্রয় বিছানা!

.

২৯

নিজের জীবনের ব্যর্থতা ঢাকতেই লেখালেখি করি।

আমি লিখলেও, কারোর আসে যায় না!

না-লিখলেও, কারোর কিছু আসে যায় না!

.

৩০

প্রত্যেকের মধ্যে ‘আমি’ ছল করে ‘আমি’র সঙ্গে!

.

৩১

একটা জটিল প্রবন্ধের বই পড়ছিলুম। বেশ খটমট। একটানা পড়তে পারছিলাম না। থেমে থেমে পড়ছিলাম। আর ভাবছিলাম যে, কিছু বই স্বাদ নিতে হয়, কিছু বই গিলতে হয়, কিছু বই আবার কিছু কিছু করে চিবিয়ে হজম করতে হয়; কিছু বই ভাগে ভাগে পড়তে হয় বা কিছু কিছু করে পড়তে হয়, কিন্তু কৌতুহলীভাবে নয়; আবার কিছু বই পড়তে হয় পুরো এবং কঠোর পরিশ্রম আর মনোযোগের সঙ্গে। কথায় আছে না, ‘ফ্রান্সিস বেকন, অফ স্টাডিস!’

.

৩২

এখনকার অধিকাংশ হিন্দু বাঙালির যা মন-মানসিকতা, উগ্র হিন্দুত্বের তত্ত্বে ভর করে গোটা বাংলায় ৫০ কোটি টাকা রামমন্দিরের জন্য চাঁদা উঠল। হিন্দু বাঙালি বিজেপির এই কর্মসূচিতে এতটাই উৎফুল্ল, বিজেপিবিরোধী লোকেরা যে যুক্তি দিক, কানে ঢুকবে না।

মোল্লাদের জব্দ করার প্রশ্নে বাঙালি হিন্দু ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে প্রস্তুত। ভাবখানা এমন যে, ‘ভাতার মরে মরুক, সতীন যেন বিধবা হয়…!’ আসামের দেখেও, তাদের শিক্ষা হলো না!

.

৩৩

ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বা আরএসএস-এর গত চার দশকের ইতিহাস বিচার করে দেখলে, তাদের সম্পর্কে কোনো সংশয় বা প্রত্যাশা থাকার কথাই নয় কী হিন্দু, কী বাঙালির। অবাঙালি বেনিয়া ব্রাহ্মণ্যবাদী এই দল বা গোষ্ঠী তাদের বাইরের কাউকে স্বীকৃতি দেয় না। দেবেও না।

আর ভোটের স্বার্থে বিজেপি কিছু মুখ-বিজ্ঞাপনে আব্বাস নাকভী বা রামনাথ কোবিন্দকে সামান্য জায়গা দিলেও, আরএসএস ওগুলোকে ব্ল্যাক স্পট বলেই মনে করে।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এদের ছুঁড়ে ফেলতে দেড় সেকেণ্ডের বেশি সময় লাগবে না। দরকার হলে বিজেপিকে মুছে ফেলে নতুন দল বানাবে সঙ্ঘ। যেভাবে জয়রকাশের জনতা পার্টির পতাকা হাতে হিন্দু মহাসভাকে সরিয়ে বিজেপি বানানো হয়েছিল!…

…………………

পড়ুন

কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ

লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য

সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি

গল্প

উকিল ডাকাত : সুনীল শর্মাচার্য

এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প: সুনীল শর্মাচার্য

আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য

প্রবন্ধ

কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য

ধর্ম নিয়ে : সুনীল শর্মাচার্য

মুক্তগদ্য

খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য

কত রকম সমস্যার মধ্যে থাকি

শক্তি পূজোর চিরাচরিত

ভূতের গল্প

বেগুনে আগুন

পরকীয়া প্রেমের রোমান্স

মুসলমান বাঙালির নামকরণ নিয়ে

এখন লিটল ম্যাগাজিন

যদিও সংকট এখন

খাবারে রঙ

সংস্কার নিয়ে

খেজুর রসের রকমারি

‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে

মোবাইল সমাচার

ভালো কবিতা, মন্দ কবিতা

ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন

বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে

দাড়ি-গোঁফ নামচা

নস্যি নিয়ে দু-চার কথা

শীত ভাবনা

উশ্চারণ বিভ্রাট

কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা

ভারতীয় ঘুষের কেত্তন

পায়রার সংসার

রবীন্দ্রনাথ এখন

কামতাপুরি ভাষা নিয়ে

আত্মসংকট থেকে

মিসেস আইয়ার

ফিরবে না, সে ফিরবে না

২০২১-শের কাছে প্রার্থনা

ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা

রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ

কবিতায় ‘আমি’

ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত

ধুতি হারালো তার কৌলীন্য

ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা

পৌষ পার্বণ নিয়ে

প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে

শ্রী শ্রী হক কথা

বর্তমান ভারত

ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা

ইন্ডিয়া ইউনাইটেড বনাম সেলিব্রিটিদের শানে-নজুল

ডায়েরির ছেঁড়া পাতা

অহল্যার প্রতি

উদ্ভট মানুষের চিৎপাত চিন্তা

তাহারা অদ্ভুত লোক

পৌর্বাপর্য চিন্তা-ভাবনা

নিহিত কথামালা

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...