নিজস্ব প্রতিবেদক : ৮ মার্চে প্রথম মৃত্যু, আজ ৪ জুলাই এসে করোনায় দেশে মৃত্যু প্রায় ২ হাজার দাঁড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৮৮ জন সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
সবমিলিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে আজ শনিবার (৪ জুলাই ২০২০) এমন তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৩ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৭২১ জন।
গতকাল শুক্রবার (৩ জুলাই ২০২০) দেশে করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ১১৪ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪২ জন।
তথ্যমতে, ১৪ হাজার ৭২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এর আগের দিন ১৪ হাজার ৪৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি নমুনা।
দেশে ৭১টি ল্যাবের (পরীক্ষাগার) মধ্যে ৬৪টির পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে।
করোনায় প্রথম সংক্রমণ
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
করোনায় দেশে মৃত্যু প্রায় ২ হাজার, স্বাস্থ্যবিধি ও পরামর্শ
করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন—
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মনের ওপর চাপ তৈরি করায় অনেকের নিয়মিত ঘুম ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
করোনায় দেশে মৃত্যু প্রায় ২ হাজার, আরো নির্দেশনা
সচেতন হোন, সতর্ক থাকুন এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। কোরবানির পশুর হাটের নীতিমালা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। মাস্ক পরার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাই মাস্ক পরুন।
জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু