তিনটি কবিতা
রওশন রুবী
রওশন রুবীর তিনটি কবিতা
না পারলে খুল না দ্বার
না আমি কেউ নই।
প্রবেসের অনুমতি নাও দিতে পারো।
সব বেল অনুমতি চাওয়ার জন্য বাজে না,
দূরের খবরও দিয়ে যেতে চায় কোনো কোনো ডাক।
না কেউ হতে আসিনি।
সংবাদটা দেবার ছিল, কাল সারারাত
সমুদ্রের সম্মতি চেয়ে আছড়ে পড়েছে নদীর বলয়।
আমি সামান্য রঙ, পায়ের কাছে পড়ে থাকি প্রভুর,
তার আদালত ছাড়া আবেদন রাখিনি কোথাও।
না পারলে খুল না দ্বার,
প্রবেসেই কি ফেরানো যায় হৃদয়ের প্রবাসযাপন?
.
আমার কেবলি বেঁচে থাকা উচিত
আমি কি কেবলই আপনার পরিচিত?
বারবার আপনার দরজায় আশ্রয়ের জন্য যাই,
আজকাল সেটুকু আপনি বুঝেন না।
নির্ধারিত ছকে কথা বলেন,
সাবধানে ঢেলে দেন নিংড়ানো আবেগ;
কবে এতো সাবধানী হলেন?
এখনো আত্মঘাতী হামলায় আচ্ছন্ন করে মিষ্টি গন্ধ,
এখনো নরম গোলাপ পাপড়ির ছোঁয়া…
আপনি আর আমাকে বুঝতে চান না,
সে জন্য কেউ আমাকে বোঝে না, কেউ না…
আমার কেবলি বেঁচে থাকা উচিত…
অথচ শিয়রে মৃত্যু অপেক্ষায়…
.
নির্জনতা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ পানপাত্র
নির্জনতা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ পানপাত্র,
উপকরণ আর সার্বিক।
নির্জনতা চূর্ণ করো না,
এসো ঈশ্বরের দূত—
খোলা আছে জলদিঘী;
এসো মধ্যদুপুর—পানপাত্র নাও,
সার্থক হোক তাম্রবলয়,
অপূর্ণতা লুটিয়ে পড়ুক।
…………………
পড়ুন
কবিতা
গল্প
গল্পের বিশেষাংশ :
একেরপর এক লোকজন আসছে। দু’দণ্ড কথা বলার জো নেই। কেউ কারোর দিকে তাকিয়েও থাকছি না। শুধু দু’একবার সবার দিকে সবাই যেমন তাকায়। একজন মৃত্যুপথযাত্রীর সাথে দেখা করতে এসেও কেমন অভিনয়!
একটা কাগজের সইয়ের চেয়ে সমাজের কাছে মনের গভীরতা হালকা কত। সেটুকু অনুধাবন করছি। দগদগে ক্ষত নিয়ে দেখছি নতুন মানুষগুলোকে। কাউকে চিনবার কথা নয় আমার। আমাকেও কেউ চিনছে না। সবাই কেবল এসেই অবাক হয়ে তাকায়।
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
সুনীল শর্মাচার্যের দশটি কবিতা
নাসিমা খাতুনের কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের কবিতা