shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৬৬, শনাক্তেও রেকর্ড ৭২১৩ জন

coronavirus
coronavirus-update

করোনায় দেশে মৃত্যু ও শনাক্ত দু’দিকেই নতুন রেকর্ড তৈরি হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭২১৩; আর মারা গেছেন ৬৬ জন। এর আগে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এত মৃত্যু দেখা যায়নি। ২০২০ সালের ৩০ জুন মারা গিয়েছিল ৬৪ জন।

গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল ২০২১) শনাক্ত হয়েছিল ৭০৭৫ জনের। তার আগের দিন রোববার (৪ এপ্রিল ২০২১) হয়েছিল ৭০৮৭ জনের। আজ সংক্রমণ শনাক্তে গত দু’দিনকে ছাড়িয়ে গেল। সে হিসাবে টানা তিন দিন ধরে সংক্রমণ শনাক্ত ৭ হাজারের বেশি।

আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ৩৪ হাজার ৩১১ জনের; শনাক্তের হার ২১.০২ শতাংশ।

এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; মারা গেছেন ৯ হাজার ৩৮৪ জন; আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। নতুন করে দেশব্যাপী লকডাউন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম।

কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

গত বছরের (২০২০) ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি (২০২১) বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি (২০২১) থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৬৬, শনাক্তেও রেকর্ড ৭২১৩ জন

করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা
  • যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও, নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
  • আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না-হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
  • বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
  • যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
  • নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
  • মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

………………… রেকর্ড

পড়ুন

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন

করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর

করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...