shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনায় একদিনে ২৫৮ জনের মৃত্যু, নতুন রেকর্ড

coronavirus

দেশে একদিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ-সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯২৫ জন।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫২৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, শনাক্তের হার ২৮.৪৪ শতাংশ।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৯ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন।

এদিকে, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম-বেশি হলেও, মাসখানেকের বেশি সময় ধরে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের দাপটে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুও কয়েক গুণ বেড়েছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ-সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। গত ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আটদিনের জন্য শিথিল থাকার পর গত শুক্রবার থেকে আবার দুই সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডানুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি-না, তা বোঝার অন্যতম নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

গত বছরের (২০২০) ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা

  • যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও, নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
  • আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না-হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
  • বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
  • যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
  • নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
  • মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

…………………

পড়ুন

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন

করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর

করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়

প্রয়োজনে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...