করোনায় একদিনে দেশে আরো ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ-সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫০৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে এ-পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন। আর, মোট মৃতের সংখ্যা ১২৩১০ জন।
গত একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরো ১৫২৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ-নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৯ জন।
জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৮২টি ল্যাবে ১৮২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে; শনাক্তের হার ৮.২২ শতাংশ। এ-পর্যন্ত দেশে ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭৭টি (সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৭২২টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৫টি) নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে; শনাক্তের হার ১৩.৫৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২.৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে এ-পর্যন্ত মৃত ১২৩১০ জনের মধ্যে ৮৯০৩ জন পুরুষ এবং ৩৪০৭ জন নারী।
দেশের জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না-গেলে যে-কোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
গত বছরের (২০২০) ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
একদিনে আরো ২৬ মৃত্যু, ১৫০৪ রোগী শনাক্ত
করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা
- যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
- তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও, নমুনা পরীক্ষা করাবেন।
- আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না-হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।
- বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
- যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।
- নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
- মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।
—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক
…………………
পড়ুন
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন
করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর
করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়
প্রয়োজনে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
সংশ্লিষ্ট আরো লেখা
করোনায় আরো ১৭৮ জনের মৃত্যু
টানা ২০ দিন পর দৈনিক মৃত্যু দুইশ’র নিচে ১৯৭ জন
করোনায় আরো ২১৫ জনের মৃত্যু