তিনটি কবিতা
জাহাঙ্গীর জয়েস
জাহাঙ্গীর জয়েসের তিনটি কবিতা
মৃত্যু পরোয়ানা
গতকাল তোর স্ট্রোক হয়েছে শুনলাম। তাই তো হওয়ার কথা। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। বউ। ছেলে-মেয়ে। ছোটখাটো আবদার। পড়াশোনার খরচপাতি। অন্যদের কথা নাই-বা নিলাম। সবকিছু না-বুঝলেও এটুকু তো বুঝি চড়ুইয়ের মতো। সেদিন তো আর নাই। গাছের মগডাল থেকে পরে কিছু সময় অজ্ঞান থেকে দুনিয়া ধীরে ধীরে ফিরে আসা। খেলতে গিয়ে হাত কিম্বা পা মচকে কয়েকদিন দর্শক থাকা। খেলা বারণের উপদেশ শোনা। যখন সফল হওয়ার কোনো মিশন ছিল না। ব্যর্থতার জন্যে কেউ ছুড়তো না তীর। সেদিন তো আর নাই। তাই তোর স্ট্রোকের কথা শুনে অবাক হইনি। তাই তো হওয়ার কথা। এখন তো ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। ব্যর্থতা মানে নিশ্চিত মৃত্যু পরোয়ানা।
.
লাশ কাঁধে দাঁড়িয়ে আছি
সেই কবে থেকে লাশ কাঁধে দাঁড়িয়ে আছি। রক্তের ধারা বইছে। মগজ ছিটকে পড়ছে। নাড়িভুড়ি বেরিয়ে আসছে অজগরের মুখে হরিণের মতো। হেমলকের অমৃত পান করা লাশ। নিরাপত্তার আশ্বাসপ্রাপ্ত লাশ। লাগেজে লাশ। রাস্তায় লাশ। নদীতে লাশ। পাহাড়ে লাশ। শহীদ মিনারে লাশ। সিঁড়িতে লাশ। কারাগারে লাশ। কারখানায় লাশ। জননীর ঘোমটার ভেতর লাশ। সেই কবে থেকে লাশ কাঁধে দাঁড়িয়ে আছি।
.
বীভৎসতা
হয়তো একদিন বর্জ্যের মতো পরে থাকবো নর্দমায় পলিথিনে মোড়া। বিদঘুটে গন্ধে মানুষ ভুলে যাবে বীভৎসতার মাপ পরিমাপ।
…………………
পড়ুন
জাহাঙ্গীর জয়েসের চৌদ্দটি কবিতা
জাহাঙ্গীর জয়েসের একগুচ্ছ কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ
লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য
সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি
নিহিত মর্মকথা : সুনীল শর্মাচার্য
প্রয়াণগাথা : সুনীল শর্মাচার্য
1 thought on “জাহাঙ্গীর জয়েসের তিনটি কবিতা”