shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনায় দেশে আরো ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫০৮

coronavirus
coronavirus-bd-2020

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ-সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫০৮ জন। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও, বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা।

এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট সংক্রমিত শনাক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৭ জনে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭২। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর ২০২০) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৪২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৯১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনই মারা যান হাসপাতালে।

আগের ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৩৬ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। এ সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৩২ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়।

অবশ্য গত আগস্ট থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে।

আরো নির্দেশনা

যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।

তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।

নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...