shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনায় দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু

coronavirus
coronavirus-bd

করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজন মারা গেছেন। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন। আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি ২০২১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ-কথা জানানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবারের (২৮ জানুয়ারি ২০২১) তুলনায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে। গতকাল করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয় ৫০৯ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬০ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, গত বছরের (২০১৯) ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

৮ মার্চ (২০২০) দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আছে বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং লোকসমাগম এড়িয়ে চলা। এই সব কটি একসঙ্গে মেনে চলতে হবে।

করোনায় দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু

করোনা পরিস্থিতিতে আরো নির্দেশনা

যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না। তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।

নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, সে-কারণে শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...