shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৪ জনের মৃত্যু করোনায়, শনাক্ত ১৬৯৬

coronavirus
coronavirus-bd

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। একই সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯৬ জন

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর ২০২০) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়।

এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২৭। মারা গেছেন ৫ হাজার ৭৪৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৮ জনের। দেশে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ২১ হাজার ৩৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৩২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী ৬ জন। তাঁরা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। একই সময় করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা না আসা পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে আছে বাইরে বের হলে মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এবং লোকসমাগম এড়িয়ে চলা। এই সব কটি একসঙ্গে মেনে চলতে হবে।

আরো নির্দেশনা

যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।

তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।

নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।

মায়ের দুধে করোনা ছড়ায় না, তাই শিশুকে বুকের দুধ পান করান। দুধ পান করানোর সময় মায়েরা মুখে মাস্ক পড়ুন।

—শুভ নিজস্ব প্রতিবেদক

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...