shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত, পর্ব ২

Little Ghost
Little Ghost

শিশুতোষ উপন্যাস, ধারাবাহিক—পর্ব ২

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

আফরোজা অদিতি

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত

মন খারাপ নিয়ে চুপচাপ শুয়ে আছে নিলেশ। মা ঘরে এলেন। বললেন, ‘চুপচাপ শুয়ে আছ যে, পল্টু এসেছে, ওঠ কথা বলো ওর সঙ্গে।’

মায়ের কথাতে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় নিলেশ। পল্টু এই গ্রামের ছেলে। ওদের বাড়ির পাশেই পল্টুদের বাড়ি। ওরা সমবয়সি।

‘চল, নদীর ধারে হেঁটে আসি।’ পল্টু বলল। নিলেশের ইচ্ছা না-থাকলেও পল্টুর সঙ্গে বের হলো। ওরা নদীর পাড় ধরে হাঁটছে। নদীর পাড়ে এসে নিলেশের মনটা ভালো হয়ে গেল। মন ভালো হলেও, মনের এক কোণে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলো অদৃশ্য সেই কণ্ঠ। নিলেশ হাঁটছে ঠিকই, কিন্তু ওর মনজুড়ে রয়েছে অদৃশ্য সেই কণ্ঠ। মনে মনে ডাকছে সেই অদৃশ্য কণ্ঠকে।

‘এসো, এসো, কথা বলো।’ অল্প একটু হেঁটে পল্টুকে বলল, ‘চলো, পল্টু ফিরে যাই। আর যেতে ভালো লাগছে না।’ পল্টুরও খিদে পেয়েছিল নিলেশের কথায় সায় দিয়ে ফিরে এলো ওরা।

বিকেল বেলা।

নিলেশ বের হলো একা একা। নদীটা কোথায় তা চিনে নিয়েছে। পথ এখন আর ভুল হবে না। নদীর পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে এসেছে নিলেশ। চারপাশে বাঁশবনের ছায়া। বাঁশের শুকনো পাতা ঝরে পড়ছে নদীতে। নদীর ঢেউয়ে যাচ্ছে ভেসে। পাতাগুলো কেমন নেচে নেচে চলে যাচ্ছে দূর হতে দূরে! বিস্ময় বিভোর দেখতে দেখতে নদীর পাড়ে বসতে ইচ্ছা করলো ওর।

বসতে যাবে হঠাৎ পাড়ের একটু নিচে দেখতে পেলো একটি ছেলে পড়ে আছে! ওখানে কে পড়ে আছে। একটু কাছে এগিয়ে যায়। ছেলেটাকে টেনে তুলতে চায়, পারে না। একবার দুইবার তিনবারের চেষ্টায় ছেলেটাকে তুলতে পারলো নিলেশ, পাড়ের ঢালে শুইয়ে দিলো ওকে।

ওরই বয়সি একটি ছেলে, ওর কাপড় জলে ভিজে জবজবে। অচেতন হয়ে আছে। ওর কাছে বসে নাকের সামনে হাতের তালু রেখে নিঃশ্বাস আছে কিনা পরীক্ষা করে, নিঃশ্বাস পড়ছে। নিলেশ আর একটু নিচে নেমে আঁজলা ভরে পানি এনে মুখে-চোখে ছিটিয়ে দেয়। কয়েকবার পানির ছিটে দিতেই চোখ মেলে ছেলেটি।

নিলেশ আরো কিছুক্ষণ শুইয়ে রাখে, উঠতে দেয় না ওকে। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরে বসতে সাহায্য করে ওকে। নাম জিজ্ঞেস করে। কিন্তু ছেলেটি কথা বলতে পারছিল না। নিলেশ বলে, ‘আর একটু চুপ করে থাকো তারপর বলো।’ বেশ কিছু সময় চুপচাপ নদীর ঢেউ দেখে নিলেশ। তারপর আবার নাম জিজ্ঞেস করে ছেলেটির। এবারে নাম বলে ছেলেটি—‘অভীক’।

অনেকটা সময় পার করে বাড়ি আসে নিলেশ। মনে সংশয়, মা বকবে। একে দেরি করে বাড়ি ফিরেছে, সঙ্গে আবার একজন অচেনা মানুষকে সঙ্গে এনেছে! মা বকলেন না ঠিক, কিন্তু মুখ ভার করে রইলেন।

ছেলেটিকে ওর ঘরে শুইয়ে দেন মা। জামা-কাপড় বদলিয়ে ওর কাপড়-জামা পরিয়ে দেয় নিলেশ। এক গ্লাস গরম দুধ খেতে দেন মা। দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলেটি। নিলেশকে ডাকে মা।

‘তুমি বড় হবে কবে নিলেশ; অজানা, অচেনা একজনকে বাড়ি নিয়ে এলে।’

‘মা, অচেতন হয়ে পড়েছিল, মায়া হলো তাই।’ মুখ নিচু করে বলে নিলেশ।

‘যাক, এখন ঘুম ভাঙলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নাও কোথায় বাড়িঘর? গতবার এসে কী অবস্থা ঘটিয়েছিলে তা যে কী করে ভুলে গেলে তাই ভাবছি। এবার আবার কী কাণ্ডকীর্তি করো কে জানে! এই জন্য এখানে আসতে চাইনি। কিন্তু তোমাদের শখ! ‘শখের আটি চৌদ্দ আনা।’

মায়ের রাগ হয়েছে বুঝতে পারছে নিলেশ। কিন্তু এখন কিছু বলা যাবে না, মায়ের রাগ আরো বেড়ে যাবে; ও জানে মায়ের কথার ওপর কথা বললে খুব রেগে যান মা। নিলেশ ছেলেটির মাথার কাছে বসে থাকে; ওর ঘুম ভাঙার অপেক্ষা করে।

ছেলেটির ঘুম ভাঙে সন্ধ্যায়। ঘুম ভেঙে এদিক-ওদিক তাকায়। ওর ঘুম ভাঙতেই নিলেশ ঝুঁকে পড়ে ওর মুখের ওপর। জিজ্ঞেস করে ‘এখন কেমন লাগছে?’

‘ভালো। পানি খাবো।’

নিলেশ পানি খেতে দেয়। পানি খেয়ে ছেলেটি আবারো ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে ডেকে ডেকে জাগাতে না-পেরে মাকে ডাকে নিলেশ। নিলেশের মা এসে দেখে খুব জ্বর। জ্বরের ঘোরে অচেতন। মা ডাক্তার ডাকতে পাঠিয়ে আর এক গ্লাস দুধ খেতে দেয় ছেলেটিকে।

ডাক্তার এসে দেখে ওষুধ দেয়। বলে, ‘ভয়ের কিছু নেই। রাত্রিটুকু ঘুমালেই সংকট কেটে যাবে। ইনজেকশন দিয়েছি, ওষুধ দিচ্ছি। তবে একটু সাবধানে রাখবেন যাতে নিউমোনিয়া না হয়ে যায়।’

ডাক্তার চলে গেলে রাগে গজগজ করতে থাকে মা। ‘হাতে পায়ে শুধু বড় হয়েছে, বুদ্ধি হয়নি একটুও! কী যে করি।’ মা রান্নাঘরে চলে গেলেন। বাঁকি কাজটুকু সারতে।

মা চলে গেলে নিলেশ গুম হয়ে বসে ভাবে। গ্রামের বাড়িতে না-এলেই ভালো হতো। কিন্তু এই নদী ওকে এমনভাবে টানছিল, না এসে থাকতে পারেনি। গ্রামে আসার জন্য বায়না করেছিল এ-কথা সত্য! নিলেশের মন কেমন কেমন করে; শুধুই মনে হচ্ছে, এখানে না-এলেই ভালো হতো। না-এলেই ভালো হতো!

সারারাত ঘুম এলো না নিলেশের; ছেলেটির পাশে শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে ভালো লাগে না ওর। উঠে হাতে মুখে পানি দিয়ে মাথার কাছে চেয়ারে বসে।

ছেলেটির না অভীক। অভীক ঘুমাচ্ছে। ডাক্তার দাদু বলেছেন, ঘুমালে ঠিক হয়ে যাবে ওর শরীর। ওকে তো ভালো ছেলে বলেই মনে হয়। মা কেন সন্দেহের চোখে দেখছে। মা তো বয়সে বড়, ছোটরা যা বুঝে না, বড়রা তা দেখেই বুঝতে পারে। বড়দের অভিজ্ঞতা বেশি। তা ছাড়া চারদিকের যা অবস্থা, মা খুব চিন্তা করে।

গতবার এখানে এসে তো হারিয়েই গিয়েছিল। অনেক ভাগ্যগুনে ফিরে এসেছে। মায়ের ভয় আবার যদি হারিয়ে যায়। মায়ের চিন্তা হবেই, মায়েরা ভাবে, ভাববেই। মায়েরা চিন্তা করবেই, মায়ের চিন্তা-ভাবনা যতোটা সম্ভব কম করতে চেষ্টা করে নিলেশ। তবুও মাঝেমধ্যে এমন কিছু কাজ করে মায়ের চিন্তা হয়েই যায়! নিলেশ কোনোভাবেই আটকাতে পারে না মায়ের চিন্তা! মায়ের চিন্তিত মুখ দেখে খুব কষ্ট হয় ওর।

অভীকের মাথার কাছে বসে মায়ের কথা ভাবতে ভাবতে একটু তন্দ্রামতো এসে গিয়েছিল নিলেশের, আপনা-আপনি চোখ বুঁজে এসেছিল; সেই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখে নিলেশ, ঐ অদৃশ্যকণ্ঠ ডাকছে ওকে।

বলছে, ‘নদীর তীর ধরে হাঁটতে হাঁটতে সেখানে এসো—যেখানে বাঁশবনের ছায়া পড়েছে নদীজলে। ঐ ছায়ার মাঝে একটি বোতল ভাসতে দেখবে; ঐ বোতলে আছি আমি।’ নিলেশ লাফ দিয়ে উঠে পড়ে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে ভোরের আলো ফুটেছে। দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। বাইরের গেট দিয়ে বের হওয়ার মুহূর্তে পিছু ডাকে মা।

‘কোথায় যাচ্ছিস।’

‘এই আসছি মা, এই একটু রাস্তায় হাঁটবো! যাবো আর আসবো।’ তড়িঘড়ি জবাব দেয় নিলেশ। মা ওর উত্তর শুনে বলে, ‘না, তোমাকে নিয়ে আর পারি না। ঐ ছেলেটি কি উঠেছে।’ ‘না মা এখনো ওঠেনি। আমি এসে ডেকে তুলবো।’

মেইন গেট তালা দেওয়া। চাবি ওর ঘরেই আছে। ঘরে এসে চাবি নিয়ে ভাবলো, স্বপ্ন কি সত্য হয়? খারাপ হয়েছিল মন, মন খারাপ পাত্তা দেয় না। স্বপ্ন সত্যি হয় কি হয় না, তা নিয়ে ভাবার সময় নয় এখন; ওর এখন স্বপ্নের জায়গাতে যাওয়ার সময়!

ওখানে গিয়ে যদি দেখে স্বপ্ন সত্যি নয়, তাহলে ফিরে আসবে। আর যদি দেখে স্বপ্ন সত্য, তাহলে তো কথাই নেই; নাচবে তা-তা থৈ-থৈ; ধেই-ধেই! এই তো এত্তটুকুন পথ। এক মুহূর্তের দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে দৌড়ে বরিয়ে গেল।

নিলেশ একবার হাঁটছে আর একবার দৌড়াচ্ছে। ভোরের আলোতে হাঁটতে দৌড়াতে ভালো লাগছে নিলেশের। স্বপ্নের কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছে, দৌড়াচ্ছে! নদীর দিকে তাকিয়ে দেখছে কোথায় পড়েছে বাঁশবনের ছায়া; ও যেতে যেতে দেখা পেল সেই ছায়ার; স্বপ্নের ছায়া।

ওখানে গিয়ে দাঁড়ায় নদীজলে চোখ রাখে। একটু খুঁজতেই দেখতে পেল বোতলের; ওটা ভাসছে জলের কিনার ঘেঁষে। ওর মনে চমকে উঠলো খুশি। স্বপ্ন তাহলে সত্যি হয়! বোতলটি একটু একটু নড়ছে। ভেসে যাবে না তো দূরে।

নিলেশ আস্তে আস্তে ঢালু জায়গা দেখে নেমে পড়লো বোতলের কছাকাছি। ভয় পাচ্ছে, সাঁতার জানে না। ডুবে গেলে এই সকালে আশেপাশে কেউ নেই, যে বাঁচাতে আসবে ওকে। মায়ের মুখ ভেসে উঠলো ওর মনে। কিছু হয়ে গেলে কাঁদবে মা, খুব কাঁদবে।

নিলেশ পার থেকে ঘষতে ঘষতে আস্তে আস্তে নামলো পানির কিনারে বোতলের কাছাকাছি। প্যান্ট ময়লা হচ্ছে, হোক; মা বকবে, বকুক; একটু বকা তো শুনতেই হবে। বন্ধুর জন্য একটু বকা শুনতে পারবে না। তা ছাড়া ভালো কাজে একটু রাগারাগি, বকাবকি শুনলে ভালো, আর মায়ের বকুনি তো আশীর্বাদ।

মাকে পরে বলবে কেন এই কাজ করেছে। কিন্তু মা কি বিশ্বাস করবে? হয়তো করবে, হয়তো করবে না। অদৃশ্য কেউ কথা বলে ওর সঙ্গে, এই কথা শুনলেই তো ভয় পেয়ে যাবে মা।

নিলেশ আস্তে আস্তে বসে পা ডুবিয়ে দেয় পানিতে, হাত বাড়িয়ে বোতলটি ধরতে যায়, কিন্তু ঢেউয়ে তালে ওটা চলে গেল দূরে। একটা লাঠির মতো কিছু হলে ভালো হতো, এখানে আসার সময় মন হয়নি, তাড়াহুড়াতে মনেও পড়েনি। আশেপাশে তাকালো যদি একটা কঞ্চি পায়; বাঁশবন যখন আছে তখন কঞ্চিও নিশ্চয় থাকবে।

নিলেশের ভাগ্য ভালো কঞ্চির দেখা মিলে গেল। বসে বসে কঞ্চিটা হাতের কাছে পেয়ে তুলে নিলো হাতে। হাঁটতে ভয় পাচ্ছে যদি পা পিছলে যায়, তাহলে ভয়ংকর বিপদ হবে। কঞ্চিটা দিয়ে অনেক কসরত করে বোতল উদ্ধার করে পাড়ে এসে হাঁফ ছেড়ে ঘাসের ওপর বসে পরে নিলেশ। একটু দম নিয়ে বোতলের ছিপি খুলতেই শুনতে পায় কেউ বলছে, ‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।’

‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, অতো ধন্যবাদ দিতে হবে না। তুমি কোথায়?’ নিলেশের কণ্ঠে ঝরে পড়ে আনন্দ।

‘তোমার পাশেই আছি।’

‘তুমি এই বোতলে কীভাবে এলে? আমি তোমাকে খুঁজে না-পেয়ে ভেবে মরি।’

‘আমি এই বোতলে ঘুমাই। বেশিদিনের কথা নয়; তোমার সাথে কথা হওয়ার একমাস আগে থেকে এই বোতলে ঘুমাই; অবশ্য এখনো একমাস পুরা হতে তিনদিন বাঁকি। আমি এখানেই ঘুমাই, এখানেই থাকি, এখানেই বিশ্রাম নেই। এই বোতলের মুখ সবসময় খোলা থাকতো।

তোমাদের গ্রামের শেষ মাথায় যে বাড়ি, ঐ বাড়িটাতে এই মুখখোলা বোতলটা ছিল। আমি ইচ্ছামতো ঢুকতাম আর বের হতাম। সমস্যা হলো সেইদিন, যেদিন তোমার সাথে কথা হলো! তোমার ওখান থেকে এসে বোতলে ঢুকে একটু ঘুমিয়েছি, তারপর জেগে দেখি নদীতে ভাসছি; বোতলের ছিপিও বন্ধ। বুঝতে পারিনি কী করে কি হলো।

ঢেউয়ের তালে তালে চলে যাচ্ছিলাম দূরে; একটা কঞ্চি আটকে দিলো। কী করবো ভাবতে ভাবতে মনে হলো তোমার কথা; তোমার কথা মনে হতেই তুমি আমার কথা শুনতে পেলে; তুমি এলে তাই তো উদ্ধার পেলাম; তোমাকে ধন্যবাদ।’

একটানা এতোগুলো কথা বলল অদৃশ্য কণ্ঠ। অবাক হয়ে শুনলো নিলেশ। তারপর বলল, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে; চলো বাড়ি যাই। আমি তোমার বন্ধু! আমাকে ছেড়ে আর যাবে না কখনো তুমি। তোমাকে অনেক খুঁজেছি, খুঁজেছি মানে ডেকেছি, কিন্তু পাইনি; মন খারাপ হয়েছিল। এখন ভালো হয়ে গেছে, পেয়েছি তোমাকে। আর যেয়ো না কিন্তু।’ নিলেশের কণ্ঠে অনুনয়।

‘না, না—যাবো না।’ আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে ভেসে আসে কথা। নিলেশ আবার শুনতে পায় অদৃশ্য কণ্ঠ।

‘তুমি না-থাকলে কতদিন যে ভাসতে হতো কে জানে! এখন বোতলের ছিপি লাগিয়ে ফেলে দাও নদীতে! আমি আছি তোমার সঙ্গে আর থাকবোও তোমার সঙ্গে।’

নিলেশ ছিপি লাগিয়ে বোতল ফেলে দিলো পানিতে।

(চলবে)

…………………

পড়ুন

কবিতা

আফরোজা অদিতির পাঁচটি কবিতা

গল্প

রাত ভোর হতে আর কত দেরি

শিশুতোষ উপন্যাস

নিলেশ ও ছোট্ট ভূত : পর্ব ১, পর্ব ২

মুক্তগদ্য

অর্থ এক বিলাসী প্রেমিক

ভ্রমণ

গোকুল মেধ বা বেহুলার বাসরঘর

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণকথা

অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণকথা – ২য় পর্ব

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির ও রাণী রাসমণি

দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির ও রাণী রাসমণি – ২য় পর্ব

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...