shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

বয়স বাড়ে কখন, নোটবই ও অন্যান্য

Free prose

খুচরো কথা চারপাশে

বয়স বাড়ে কখন, নোটবই ও অন্যান্য

সুনীল শর্মাচার্য

বয়স বাড়ে কখন, নোটবই ও অন্যান্য

বয়স বাড়ে কখন চুপিসারে

‘Your hair is lost in the forest,

your feet touching mine.

Asleep you are bigger than the night,

But your dream fits within this room.’

(Last Dawn, Octavio Paz)

বয়স বাড়ে কখন চুপিসারে, খেয়াল থাকে না। যতই টেনে টেনে লম্বা হয় বয়স, তখন কী-করার থাকে? একটি আত্মজীবনী পড়লাম বিপিন চন্দ্র পালের। নাম : ‘সত্তর বছর’।

বয়স বাড়লে এবং জন্মদিনে যা যা হয়, সেসবের কিছুটা এই ক’দিন দেখলাম। কিছুই হলো না তো! কিচ্ছু না। হয়তো অলক্ষ্যে কিছু হয়, তবে হাওয়া-বাতাসও তার গন্ধ পায় না। মধ্যরাতের কোনো কোনো বোবা অন্ধকার হয়তো-বা জানতে পারে।

কোনো-এক বড়সড়ো অনুষ্ঠানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ষাট বছর পূর্তি-অনুষ্ঠানের পর কেউ বয়স জানতে চাইলে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় মুচকি হেসে জানিয়েছিলেন—অনুষ্ঠান-ফনুষ্ঠান না-হয় হয়নি। তাই বলে কি ষাট বছর বয়সও আমার হয়নি?—সেসব অন্য কথা।

তবে জন্মদিনে ফুল, পেন, আর বই উপহার পেলাম। ছেলে-মেয়ে দিলো। আর মা’র হাতের পায়েসসহ আর্শীবাদ। তবে যে বইটা ছেলে দিতে চেয়েছিল তা লকডাউনে জোগাড় করতে পারলো না। তাই কিছু টাকা হাতে দিলো। পরে সুযোগে কিনি।

টাকা তো সবার কাছে গজ-ফিতে নয়। ধনী-নির্ধন ছাড়া আর কিছু মাপাও যায় না টাকা দিয়ে। তা-ও কি যায় সবসময়? ইচ্ছে মতো বই দিতে পারলো না বলে ছেলের লজ্জা দেখে বলি—জীবনে বেশি বইয়ের দরকার হয় না। লক্ষ লক্ষ মানুষ একটা মাত্র বইয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। আবার ঠিক বইটির কাছে পৌঁছোতে আরো বিশটা কিনে ফেলে।

নিজের অপারগতা তবু সে মানতে পারে না। এইসব নিয়েই আমার সাতান্ন বছর। তবু চেষ্টা, মানুষের চেষ্টা তো শেষপর্যন্ত জানলার পর্দার মতো। হাওয়ায়—সে-হাওয়া ফ্যানের হোক বা প্রকৃতির—কাঁপে। তাই ভয়।

.

রাবণ, না রাক্ষস

বর্তমান ভারতের মহামান্য চাওয়ালা পিধান মন্ত্রী শ্রীশ্রী মোদীজি প্রতিমাসে এককোটি কুড়ি লাখ টাকা খরচ করেন তাঁর পছন্দের খাদ্য মাশরুমের জন্য। তাইওয়ান থেকে আনা এই মাশরুমের এক পিসের দাম আশি হাজার টাকা। উনি প্রতিদিন তিনপিস খান ৮ ঘণ্টা ব্যবধানে।

সকাল সাতটায় প্রাতরাশ খান। তুর্কির সিম সিদ্ধ, লুক্সেমবার্গের অ্যাসপারাগাস, সঙ্গে গুজরাটি ফাপরা তার তালিকায় থাকে। প্রতিদিন পদ্মবীজ সিদ্ধ থাকবেই মেনুতে—যা আমদানি হয় আলোয়ার থেকে। প্রতিদিন দুই লাখ কুড়ি হাজার টাকার তিন পিস মাশরুম সহ আড়াই লাখের খাবার খান মাননীয়।

তিনি আত্মনির্ভর ভাওতাবাজির পিধানমন্ত্রী! খাদ্যের বহর দেখে মনে হয় মাননীয় রাবণ, না রাক্ষস? উনি আরো দশ বছর থাকলে পুরো দেশটাকেই না খেয়ে ফেলেন!…

PM Food Supplier #Alpesh_Thakur হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন। লজ্জা বলে কিছুই নেই। বিবেক শূন্য! স্বার্থপর! আর দুঃখের বিষয়—আমাদের ভারতে প্রতিদিন ২৭.২৬ কোটি মানুষ অর্ধাহারে দিন কাটায়!

সূত্র : The New INDIAN Express

.

মিখাইল কালাশনিকভ বনাম একে-৪৭

‘যুদ্ধাস্ত্র বানাবো কখনো ভাবিনি, চাইতাম উন্নত কৃষিযন্ত্র বানাতে। কিন্তু নাৎসীরা আমাকে বাধ্য করল উন্নত বন্দুক বানাতে।’—বলতেন মিখাইল কালাশনিকভ। যুগান্তকারী একে-৪৭-এর আবিষ্কারক, নির্মাতা।

লাল ফৌজের সৈনিক এবং ট্যাঙ্ক মেকানিক মিখাইল কালাশনিকভ ‘ক্লোজ রেঞ্জ ফাইটিংয়ে’ লাল ফৌজকে নাকাল হতে দেখেছিলেন—লাল ফৌজের চেয়ে উন্নতমানের নাৎসী রাইফেলের সামনে। একচল্লিশ সালে নিজেও আহত হন নাৎসীদের বুলেটে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে মিখাইল ঠিক করে ফেললেন মার্কিন এম ওয়ান এবং জার্মান এসটিজি ফরটিফোরের চেয়েও উন্নতমানের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বানাবেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস।

সাতচল্লিশ সালের আজকের দিনেই কালাশনিকভের আবিষ্কৃত একে-৪৭-এর আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়নে। অচিরেই একে-৪৭ হয়ে উঠেছিল বিপ্লবের প্রতীক। ওয়ারশ চুক্তিভুক্ত সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো তো বটেই, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, কলোমিয়া, নিকারাগুয়া, মোজাম্বিকের মুক্তিকামী মানুষেরো প্রিয়তম অস্ত্র হয়ে উঠেছিল একে-৪৭। ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে যে অস্ত্রে ভিয়েত কং গেরিলারা মার্কিন হানাদারদের এম সিক্সটিনকে বলে বলে গোল দিতো সেও এই একে-৪৭-ই।

২০০৭-এ জনৈক সাংবাদিক মিখাইলকে প্রশ্ন করেছিলেন এই যে, তার অস্ত্র এখন বিপ্লবীদের হাত ছাড়িয়ে প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিকদের হাতেও পৌঁছে গেছে, এর জন্য নির্মাতা হিসেবে তাঁর আফসোস হয় না? তাঁর রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয় না?

মিখাইল উত্তর দিয়েছিলেন : ‘No, I sleep well. It’s the politician’s who are to blame for failing to come to an agreement and resorting to Violence.’

.

রামায়ণ বনাম রামচরিত নিয়ে ভাবি

আজ পড়ছিলাম : The Kashmiri Ramayana. পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, যে বাল্মীকি রামায়ণ

শেষ কথা নয়। কৃত্তিবাসী রামায়ণ বা তুলসীদাসের রামায়ণও নয়। জৈন রামায়ণে সীতা রাবণ কন্যা। অর্থাৎ রাবণের মেয়ে সীতা।

নেপালী রামায়ণে রাম ও সীতা ভাইবোন। এক রামায়ণ থেকে অপর রামায়ণ বেশ আলাদা। এখন অবধি ১০০টির বেশি রামায়ণ পাওয়া গেছে। তামিল রামায়ণ বা কম্বকন রামায়ণ বাল্মীকি থেকে বেশ আলাদা। মালয়ালম ভাষাতে যেমন আছে, থাইল্যান্ডে বা মালয়েশিয়াতেও তাদের মতো করে রামায়ণ আছে।

এই যেমন কাশ্মীরী রামায়ণ। একই কাহিনি মুখে মুখে ছড়িয়েছে। ফলে তা অঞ্চল অনুসারে পৃথক হয়ে গেছে। দশরথের চার সন্তানের কথা জানি। কিন্তু দশরথকন্যার কথা ক’জনে জানি? ঋষ্যশৃঙ্গ মনি এই দশরথকন্যার স্বামী। ঋষ্যশৃঙ্গ মনির সাহায্যে কৌশল্যা কৈকেয়ীদর পুত্র লাভ সম্ভব হয়েছিল। সকলই কাহিনি। কিন্তু কাহিনির অন্তরালে ঠিক কি ছিল?

কাশ্মীরী আর একটি রামায়ণ পড়ছি এখন : বইটির নাম :

The Kashmiri Ramayana

Comprising the

SRIRAMAVATARACARITA

AND THE

LAVAKUSAYUDDHACARITA

OF

DIVAKARA PRAKASA BHATTA

আশ্চর্যজনকভাবে এই বইটি গত মাসেই আমার হাতে পৌঁছেছে কুরিয়ার মারফত। রামকথার প্রচলন কাশ্মীরে বহুদিন আগেই হয়েছে। কলহণের রাজতরঙ্গিনীতে রামায়ণের প্রসঙ্গ আছে। বর্তমান বইটি অর্বাচীন কালের। রাম সীতা দশরথ মন্দোদরীর পারিবারিক পরিচয় বা জন্মবৃত্তান্ত নিয়ে ভারতজুড়ে, এমনকি ভারতের বাইরে, নানারকম কাহিনি রয়েছে। কাশ্মীরের রামায়ণেও এ-সম্পর্কে যে ভিন্ন পাঠ রয়েছে, তার আভাস রয়েছে শ্রীরামাবতারচরিত নামের এই বইটিতে।

লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে অব ইণ্ডিয়ার লেখক গ্রীয়াবসন দিবাকর প্রকাশ ভট্টের বইটি ১৯৩০ সালে প্রথম ইংরেজি ভাষায় সম্পাদনা করেন। রাম কথা শুধু মাত্র একটি দলের রাজনৈতিক উপাদান হতে পারে না—এসব বই পড়লে তা বুঝা যায়।

.

সবাই ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু UAPA কালা আইন বাতিল হয় না

দেশ স্বাধীনের পর বিরোধী কোনো দল না থাকায়, কংগ্রেস গোটা দেশকে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছিল, আজীবন শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য এই UAPA আইন পাস করেছিল। যেন কেউ তাদের বিরোধিতা না করে, আর করলেও তাকে হাজতে পুরে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সচেষ্ট হবেন তারা।

কিন্তু কালের কি পরিহাস আজ তারা ক্ষমতায় নেই, অথচ তাদের তৈরি এই কালা আইন রাষ্ট্রকে খুনি বানাচ্ছে! এই ইউএপিএ প্রয়োগ করে রাষ্ট্র বিনাবিচারে আটক করেছে কতই-না বিরোধীকণ্ঠ! বাম সরকার প্রথম ক্ষমতায় এসে (পশ্চিমবঙ্গে) সমস্ত রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছিল। আবার বাম আমলে রাজবন্দীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে তারা মুক্তি পায়নি। অত্যাচারিত হয়েছে।

বিজেপি তো ইউএপিএ-র মতো আইনগুলো সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ওরা বলে, এ আইন তো আমরা বানাইনি। তাই UAPA আইন বাতিল হয় না। বিরোধী দলগুলো কখনোই বলে না—এই কালা আইন বাতিল হোক।

দেশের আইনজীবী লেখক সমাজকর্মী যারা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে কলম ধরছেন, রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহী’ সিল বসিয়ে জেলে ভরছে। এমন কি রাষ্ট্র সুপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করছে। জানি না, এই আইন আর কতজনের প্রাণ নেবে। কবেই-বা বাতিল হবে এই কালা আইন!

.

নিজের কথা

আমি কবি নই। লেখক নই। সে অর্থে আমি কেউ নই। এই ‘কেউ নই’ পরিচয় নিয়েই বেশ আছি। দু’এক লাইন লিখি। প্রকাশক, সম্পাদক বা পাঠক পাতে তোলে না। তা নিয়েও আক্ষেপ নেই একেবারেই। এই যে, না-থাকার মধ্যেও আছি, ‘আছি’র মধ্যেও নেই, এটা আমার আগে অনুভব করেছিলেন জীবনানন্দ দাশ।

সে যুগে ফেসবুক ছিল না। থাকলে আমার মতো ফেসবোকামি করতেন মন দিয়ে। ফেসবোকামি করে মজা পাই বেশ। হাতে গোণা চার/আট কবিতা পোস্টে চার/আটটা লাইক ও কমেন্ট দেখি। না, অবাক হই না আজকাল।

অথচ দেখি, সুন্দরী নারীদের মুখপোস্ট, হ্যানাত্যানা খাদ্যপ্রদর্শনে শত শত লাইক ও কমেন্ট পড়ি। তার মানে কেউ পড়ে না। হ্যাঁ, পড়ে। তা সেই লেখা—যা পুরস্কৃত বা বহুজন সমাদৃত। সুতরাং সমাদৃত হতে পারা কবির এক মহৎ গুণ। ঐ গুণ আমার নেই।

তাহলে লিখি কেন? রান্নাঘর নেই, দল নেই, ম্যাগাজিন গ্রুপ নেই, প্রতিষ্ঠানের ছাপ নেই, পাঠক নেই, তবু লিখি। ঐ লেখা, হ্যাঁ, আমার জন্য। এই লেখাও আমার জন্য।

.

এক কুখ্যাত দিন

১৯ জানুয়ারি ১৯৯০। এক কুখ্যাত দিন। সেদিন কাশ্মীর থেকে দলে দলে হিন্দুরা পালিয়ে এসেছিল সরকারি মদতে। স্বয়ং রাজ্যপাল জগমোহন ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন পরিবহনের। অথচ স্থানীয় মুসলিমগণ তাদের যেতে দিতে চায়নি। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং। বিজেপি ও বামেদের সমর্থনে গঠিত হয়েছিল ভিপি সিংয়ের সরকার।

সেই বিজেপি এখন মরা কান্না কাঁদছে হিন্দুদের জন্য। কাঁদছে, কেন না, তাদের লক্ষ্য হিন্দুদের প্রতি দরদ নয়, মুসলিম ঘৃণা। এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? কার নির্দেশে রাজ্যে ঐ ভূমিকা নিয়েছিলেন রাজ্যপাল? কংগ্রেস তো তখন ক্ষমতায় নেই। তাহলে?

.

নোটবই

নতুন বছর এলো চুপিচুপি। কিছুই বুঝতে পারলাম না! জীবনের কোনো পরিবর্তন নেই!

মাঝে মাঝে ভাবি, ভাষা শিল্পের মধ্যে কবিতাই হচ্ছে সবচেয়ে আদিম, সবচেয়ে শাণিত ও সান্দ্র

শিল্প রূপ। গদ্যের চেয়ে এর শব্দ প্রয়োগ অনেক বেশি সামর্থ, সূক্ষ্মতা ও সমৃদ্ধি লক্ষিত হয় এবং সাহিত্যিক বিশ্রুতিতেও এর ব্যাপকতর ভূমিকা।

চলমান বিশ্ব, পাখি, পশু-প্রাণী, বনজঙ্গল কিংবা বাতাসে বা নদীর চলায় একরকম ছন্দ আছে।

মানুষের চলাচল, তার রূপ, অঙ্গ-ভঙ্গিতে এক এক আলাদা আলাদা বৈচিত্র্য আছে, ছন্দও আছে—আমার লেখার এরাই প্রেরণা; তাদের সহজ প্রবাহকে আমি আমার লেখায় ধরার চেষ্টা করি। আর এই চেষ্টা থেকেই গড়ে উঠতে থাকে আমার কবিতা, আমার ছড়া, আমার গল্প। কিংবা অন্যান্য রচনা!

আজ বুঝি, কোনো কবির জীবনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রধান নয়, তার সবচেয়ে কঠিন দ্বন্দ্ব, তার নিজেরই মধ্যে, আর কবিতা—সে তো তাৎক্ষণিক মানসিক বোধ বা প্রতিক্রিয়া থেকে জন্ম হয়।

কবিতা পৃথিবীর মুখ বদলে দেয় না। তাই কবি হয়ে মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবো—এমন ধারণা আমার কবিতা লেখার নিয়ম নয়।

সব মানুষই কবি এবং কবিতা লেখার অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং তাদের এ অধিকার চলতে থাকে।

কবিতা হচ্ছে আত্মশাসন। এর কোনো বিকল্প নেই। কবিতা কারোর দাস নয়। নিজের সৃষ্টি। কবি হয়েই কবিত্বকে অর্জন করতে হয়। অ-কবি হয়ে নয়।

কবি কেবল স্বর্ণ দিয়ে তৈরি নয়। তার মধ্যে তাম্র ও রৌপ্যও আছে। কতিপয় কবি যদি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি হন, তবুও সে-স্বর্ণের নিখাদ থাকার সম্ভাবনা কম।

কবি হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি—যিনি মানুষের আত্মাকে সমৃদ্ধ করেছেন, সভ্যতায় ঋদ্ধ হতে—যিনি নিঃশেষে তুলে দিয়েছেন স্বকীয় সম্পদের অম্লান অর্ঘ্যে।

১০

কবিরা যে কোনো দেশের জনগণের অত্যন্ত সচেতন একটা অংশ।

১১

ভালো কবিতা মাত্রই আধুনিক। চর্যাপদ থেকে শুরু করে কালিদাস রায় আধুনিক।… উত্তর আধুনিক বলে কিছু নেই, সবই আধুনিকতার বিভিন্ন প্রকার।

১২

কবিতা নদীর মতো। সে যে পলিমাটি ফেলে যায়, সেখানেই জমে ইতিহাসের সামগ্রী—তাকে মোছা কঠিন। তার পরিবর্তন অসাধ্য।

…………………

পড়ুন

মুক্তগদ্য

খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য

কত রকম সমস্যার মধ্যে থাকি

শক্তি পূজোর চিরাচরিত

ভূতের গল্প

বেগুনে আগুন

পরকীয়া প্রেমের রোমান্স

মুসলমান বাঙালির নামকরণ নিয়ে

এখন লিটল ম্যাগাজিন

যদিও সংকট এখন

খাবারে রঙ

সংস্কার নিয়ে

খেজুর রসের রকমারি

‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে

মোবাইল সমাচার

ভালো কবিতা, মন্দ কবিতা

ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন

বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে

দাড়ি-গোঁফ নামচা

নস্যি নিয়ে দু-চার কথা

শীত ভাবনা

উশ্চারণ বিভ্রাট

কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা

ভারতীয় ঘুষের কেত্তন

পায়রার সংসার

রবীন্দ্রনাথ এখন

কামতাপুরি ভাষা নিয়ে

আত্মসংকট থেকে

মিসেস আইয়ার

ফিরবে না, সে ফিরবে না

২০২১-শের কাছে প্রার্থনা

ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা

রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ

কবিতায় ‘আমি’

ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত

ধুতি হারালো তার কৌলীন্য

ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা

পৌষ পার্বণ নিয়ে

প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে

শ্রী শ্রী হক কথা

বর্তমান ভারত

ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা

ইন্ডিয়া ইউনাইটেড বনাম সেলিব্রিটিদের শানে-নজুল

ডায়েরির ছেঁড়া পাতা

অহল্যার প্রতি

উদ্ভট মানুষের চিৎপাত চিন্তা

তাহারা অদ্ভুত লোক

পৌর্বাপর্য চিন্তা-ভাবনা

নিহিত কথামালা

অবিভাজ্য আগুন

পাথরের মতো মৌন জিজ্ঞাসা

ভাবনা যত আনমনে

বিবেক পোড়ে অশান্ত অনলে

কালাকালের ডায়েরি

উন্মাদের নীতিকথা

করোনা, ভারতীয় জনগণ ও তার সমস্যা

ধরি মাছ না ছুঁই পানি, ফেসবুক, কবিতা ও অন্যান্য

আমরা প্রত্যেকেই আজ ফ্যাসিস্ট এবং প.বঙ্গের বাঙালিরা

ফেসবুক, কবি, বুনো ফুল এবং আমিও পলিটিক্যাল

নিত্য নতুন বাঁশ, লিটল ম্যাগাজিন ও অন্যান্য

ঈশ্বর আল্লা তেরে নাম

আমাদের পৃথিবী, করোনা ভ্যাকসিন ও অন্যান্য

বয়স বাড়ে কখন, নোটবই ও অন্যান্য

কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ

লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য

সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি

নিহিত মর্মকথা : সুনীল শর্মাচার্য

প্রয়াণগাথা : সুনীল শর্মাচার্য

সুনীল শর্মাচার্যের কবিতাগুচ্ছ

অন্যভুবনের কবিতা

ঘোড়া : সুনীল শর্মাচার্য

মুহূর্তের কবিতা

অনুভূতি বেজে ওঠে

আমার কবিতা

সনেটগুচ্ছ

সুনীল শর্মাচার্যের সনেটগুচ্ছ

ভারতীয় লিমেরিক

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...