shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

বিবেক পোড়ে অশান্ত অনলে

Retail talk all around
How many problems I am in
খুচরো কথা চারপাশে

বিবেক পোড়ে অশান্ত অনলে

সুনীল শর্মাচার্য

বিবেক পোড়ে অশান্ত অনলে

একটি পরিবারের ভিত্তি কি টাকাপয়সার উপর

নির্ভরশীল?

.

এখন কেউ আর দেশ সেবার জন্য রাজনীতি করে না। ব্যক্তিসেবা বা নিজের সেবা আর ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করে। তা না-হলে ক্ষমতায় এসেই নিজেদের ভাতা বৃদ্ধির ছড়াছড়ি।

সাংসদদের ভাতা, বিধায়কদের ভাতা, পঞ্চায়েত সদস্যদের ভাতা দ্বিগুণ হয়ে যায়! ভাতা বৃদ্ধির টাকা কে জোগায়? এই জনগণ! যাদের রক্ত পান করে সরকার তাজা!

দেশ সেবার গল্প এখন সোনার পাথরবাটি!

.

কিছু মহিলা সেলেব। অতীব জঘন্য। যদিও কোনো পুরুষের উন্নয়নের পেছনে মহিলার অবদান থাকে এবং পতনের পেছনেও মহিলা থাকে।

.

ধর্ম আমাকে হিন্দু, তোমাকে বৌদ্ধ, তাকে খ্রিস্টান ও তাদেরকে মুসলমান বানিয়ে দিয়েছে। আমরা আর মানুষ নই! আমরা এই ধর্ম নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত। মানুষে মানুষে বিভেদ ক্রন্দলে মগ্ন!

ধর্মকে ভুলে মানুষ হতে পারি না! ধর্মই আমাদের আদিম আর বর্বর করেছে!!

.

জীবনটা কি খেলো করে দিলো, পুতুল নাচের পুতুল বানিয়ে দিলো, কে?

আমাদের শাসনকর্তারা!

.

এরপর আর হয়তো প্রতিবাদ, সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। কারণ এসব করলে তুমি গণতান্ত্রিক দেশে হবে সন্ত্রাসবাদী বা দেশদ্রোহী। জনগণের ভোটে জিতে জনগণের কণ্ঠরোধ!

.

সমাজে বিবেকবানরা যখন লম্পট হয়ে যায়, তখন গোলাপের গন্ধও দুর্গন্ধ লাগে…

.

লোক মরছে করোনায়

ভোট প্রচারে মিডিয়া

.

শালা শুয়োরের বাচ্চা…

রাগে আমরা নিজেকেই হামেশাই বলে ফেলি!

আসলে নিজেকে নয়, অন্যকেই বলি!

.

১০

আমাদের বুদ্ধিজীবীরা আজব চিড়িয়া!

তারাও নিরপেক্ষ নয়!!

.

১১

আত্মঘাতী, এ কেমন সময়!

গুলি, খুন, মৃত মানুষের শব…

এ বলে আমার, ও বলে আমার

রাজনীতি, তোমাকে ধিক্কার!

.

১২

হচ্ছেটা কী? একদিকে করোনার আবহ। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর দাপাদাপি!

নরভোজী রাজনীতি! মানুষ নিয়ে মরণ খেলায় মেতেছে!!

.

১৩

আশা ধীরে ধীরে নিরাশা

মরণ কি আমাদের প্রার্থনা?!

.

১৪

ভাঁওতা দেওয়া এখন শাসনতন্ত্রের নব্য সংস্কৃতি!

ভাঁওতা দিয়ে সত্যিকারের দেশসেবক হওয়া যায় কি? জনগণকে তারা বোকা ভাবেন কি?

তিনি, যিনি, সবার ভাঁওতা আমরা জেনে গেছি!

.

১৫

কোন প্রভু আজ অধিষ্ঠিত?

ভারতবর্ষ, তোমার ঐতিহ্য কে আর মনে রাখে!

.

১৬

সব খুনিরাই রাজা হয়

এই অভাগা দেশে…

সাধু আবার রাজা হয়ে

খুনির মুখোশ পরে…

.

১৭

আমাদের শাসককুল সুশাসন দিতে পারে না বলেই আধিপত্য ধরে রাখতে দাঙ্গা, হিংসা, বিভেদ, ধর্ম-রাজনীতি করে…

.

১৮

সারমেয় মিডিয়া ও তার খামবাদিকরা করোনাকালেও জনগণের সচেতন না করে, সংখ্যা গুনে যায়, আর নরভোজী রাজনীতির প্রচার করে!

ধিক্ মিডিয়া, ধিক্!

.

১৯

একজন ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে

গাছপালা, আলো, বাতাস সবই খাদ্য

পেটের জ্বলন তার কাছে ঈশ্বর অধিক

বাঁচার জন্য, শুধু বাঁচার জন্য তার লড়াই…

দিনে শেষে রাতের আকাশে ওঠে চাঁদ…

তার ক্ষুধা চাঁদের আলো গিলে খায়

.

২০

বর্তমান শাসককুল দেশের মানুষকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে!

হায়! মৃত্যুর উপত্যকায় বসে আছি!!

.

২১

চোর কহিল, ‘আমি চুরি করিয়াছি’

আহা, কি সৎ, সাহসী…

গণতন্ত্রে চোর সতী-সাধ্বী!

.

২২

ভেবেছিলাম, করোনা দুর্যোগের পর হতে পারে—একটি নতুন পৃথিবী! গণতন্ত্র, বন্ধুত্ব এবং সুস্থ জীবন সব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে। না!

তা মনে হয় আর হবে না। পৃথিবীর সর্বত্রই শাসকের নির্লজ্জ শয়তানী। ভোগবাদী মানুষের আগ্রাসী মনোভাব আরো তীব্র জঙ্গলমুখী!

.

২৩

ভারতের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হতে কি চায় না পশ্চিম বাংলার মানুষ?

তাই দেখি আমাদের আচারে ব্যবহারে…!

.

২৪

আজকের দিনে কোনো বন্ধুত্বই চিরস্থায়ী নয়!

এটা আমার সাম্প্রতিক উপলব্ধি! যে কোনো সময় বন্ধু ভয়ঙ্কর শত্রুতে পরিণত হতে পারে!

.

২৫

বর্তমান ভারতে করোনা রাজনীতিকরণ হয়েছে। করোনাকালে করোনা আর রাজনীতির ধান্দাবাজি একই নৌকায়।

এটা কেমন মানবতা এবং আমাদের সুন্দর ভারতে…

.

২৬

কৃষিবিল, এরপর ভারতে এবার শ্রমিক আইন। সম্পূর্ণ শ্রমিকবিরোধী এক আইন আনতে চলেছে মোদি সরকার। এই আইনের ফলে শ্রমিকরা দিনে ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হবে।

সারা পৃথিবীতে দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না-করার নিয়ম। মোদি সরকার ঐসব আন্তর্জাতিক নিয়মের তোয়াক্কা না-করে এই আইন আনতে চাইছে।

বলা হচ্ছে, এতে শ্রমিকদের লাভ হবে। ছুটি সপ্তাহে একদিনের জায়গায় তিনদিন পাবে শ্রমিকরা। ছুটির লোভ দেখিয়ে দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করানো অন্যায়।

এটা করা হচ্ছে শিল্পপতিদের স্বার্থে। সপ্তাহের প্রথম চারদিনে ১২ ঘণ্টা করে খাটিয়ে নিলে উৎপাদনের দিকে লাভবান হবে শিল্পপতিরা।

শ্রমিক সংগঠনগুলি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ততটা সরব হয়নি—এটা তাজ্জব ব্যাপার!

.

২৭

মধ্যযুগে যাচ্ছি আমরা। চারদিকের অবস্থা দেখে ভাবি—আমরা সত্যিই কি সভ্য? শি়ক্ষিত?

প্রযুক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। শ্রেণি বৈষম্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে এই ডিজিটাল দুনিয়া। ভোগসর্বস্ব এ কোন পৃথিবী! মানুষ নিজেই নিজের কবর খুঁড়ছে!

ঝকঝকে আবাসন আর রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নের নামে শেষ হয়ে যাচ্ছে বনজঙ্গল, জল-জলা। ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি বস্তির বসতে মনও ঘিজঘিজ। শক্তির মহড়ায় প্রকৃতিও বিপন্ন!

তবু মানুষের হুস নেই! মানুষের দৌরাত্ম্যে জল-মাটি-বায়ু সব বিষাক্ত!!

.

২৮

কবি আর গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক, দুজনই পাঠককে রহস্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে মজা দেখতে ভালোবাসেন।

গোয়েন্দা কাহিনীর তবু জট ছাড়ানো যায়, কবিতা, নৈব নৈব চ।

.

২৯

প্রতিবাদ করার অধিকার মানে যখন খুশি যেখানে খুশি প্রতিবাদ করা নয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট এটা বলেছে। বলেছে, সরকার যে জায়গায় প্রতিবাদ করতে দেবে—সেখানেই শুধু প্রতিবাদ করা বা ধর্ণায় বসা যাবে।

সুপ্রিমকোর্টের এই রায় প্রতিবাদ করার সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করল! শাসকের ইচ্ছে ছাড়া প্রতিবাদ করা যাবে না!

হা হা হা! কি সুন্দর ভারতীয় গণতন্ত্র!?!

.

৩০

বাংলা সিরিয়ালগুলোই কি বাঙালির রুচির নমুনা? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে দুইখান কথা আছে।

এক. বহিরঙ্গে বাঙালি আধুনিক হলেও, মনেপ্রাণে এখনো উনিশ শতাব্দীতেই রয়ে গেছে।

দুই. মিছিল-মিটিং আর সিরিয়াল সর্বস্ব বাঙালি যতই নিজেকে চেতনাসম্পন্ন বলে প্রচার করুক, আসলে সেই চেতনা কতখানি, তা বোঝা যায় পরনিন্দার বহর দেখে!

.

৩১

ভারত ও চীনের সমঝোতা অনুসারে ভারত ফিঙ্গার ফোর থেকে পিছিয়ে ফিঙ্গার থ্রিতে সেনা ফিরিয়ে আনল। একেই বলা হচ্ছে, ভারতের জয়!

বুঝুন ঠ্যালা!

.

৩২

স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বিনিয়োগ ভালো না-করলে, দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যও ভালো হবে না!

এটা আগে বুঝুন আত্মনির্ভর ভারত!

.

৩৩

নজর ঘুরিয়ে দিতে দিতে—একদিন তোমাদের

সব নাটক ফাঁস হয়ে যাবে… বাঁশ হয়ে যাবে…

.

৩৪

আজ আমাদের পরিণতির জন্য আমরা দায়ী!

আমরা সব বিষয়ে উদাস আর নীরব থাকি!

.

৩৫

বাঁচতে হলে

জানতে হবে…

.

৩৬

চারদিকে শুধু নেই নেই

আমরা কি নেই-দেশে আছি!

.

৩৭

সারা পৃথিবীতে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় তার মূলে মানুষ!

তার মূলে মানুষের শক্তির বড়াই, লুটে নেবার বাসনা!

ভোগবিলাস, ভালো নয়। ভালো নয় পৃথিবী একার ভাবার!

.

৩৮

যারা বিদেশে থাকেন। কিম্বা সবুজ লাল হলুদ কার্ড পেয়ে ভাবছেন দিব্য আছেন। কিন্তু একদিন-না-একদিন ওখান থেকেও তাড়া খাবেন! পৃথিবী আস্তে আস্তে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

কেননা বর্ণবৈষম্য দিন দিন ভয়ঙ্কর হচ্ছে!

…………………

পড়ুন

কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা

সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ

লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য

সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি

নিহিত মর্মকথা : সুনীল শর্মাচার্য

গল্প

উকিল ডাকাত : সুনীল শর্মাচার্য

এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প: সুনীল শর্মাচার্য

আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য

প্রবন্ধ

কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য

ধর্ম নিয়ে : সুনীল শর্মাচার্য

মতামত

ভারতীয় বাঙালি ও ভাষাদিবস

মুক্তগদ্য

খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য

কত রকম সমস্যার মধ্যে থাকি

শক্তি পূজোর চিরাচরিত

ভূতের গল্প

বেগুনে আগুন

পরকীয়া প্রেমের রোমান্স

মুসলমান বাঙালির নামকরণ নিয়ে

এখন লিটল ম্যাগাজিন

যদিও সংকট এখন

খাবারে রঙ

সংস্কার নিয়ে

খেজুর রসের রকমারি

‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে

মোবাইল সমাচার

ভালো কবিতা, মন্দ কবিতা

ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন

বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে

দাড়ি-গোঁফ নামচা

নস্যি নিয়ে দু-চার কথা

শীত ভাবনা

উশ্চারণ বিভ্রাট

কাঠঠোকরার খোঁজে নাসা

ভারতীয় ঘুষের কেত্তন

পায়রার সংসার

রবীন্দ্রনাথ এখন

কামতাপুরি ভাষা নিয়ে

আত্মসংকট থেকে

মিসেস আইয়ার

ফিরবে না, সে ফিরবে না

২০২১-শের কাছে প্রার্থনা

ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা

রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ

কবিতায় ‘আমি’

ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত

ধুতি হারালো তার কৌলীন্য

ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা

পৌষ পার্বণ নিয়ে

প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে

শ্রী শ্রী হক কথা

বর্তমান ভারত

ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা

ইন্ডিয়া ইউনাইটেড বনাম সেলিব্রিটিদের শানে-নজুল

ডায়েরির ছেঁড়া পাতা

অহল্যার প্রতি

উদ্ভট মানুষের চিৎপাত চিন্তা

তাহারা অদ্ভুত লোক

পৌর্বাপর্য চিন্তা-ভাবনা

নিহিত কথামালা

অবিভাজ্য আগুন

পাথরের মতো মৌন জিজ্ঞাসা

ভাবনা যত আনমনে

বিবেক পোড়ে অশান্ত অনলে

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...