মুকুন্দ
সুনীল শর্মাচার্য
মুকুন্দ
মুকুন্দ বাড়ির উঠোনে অনেক রকমের ফুল গাছ লাগিয়েছে। কিন্তু সেইসব ফুলের গাছে কখনো কোনো ফুল হয় না। বড় হওয়ার আগেই সব গাছ নষ্ট হয়ে যায়। নয় তো ছাগলে, গরুতে খায়।
বেড়া দিয়েও তা রক্ষা করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ দিনের বেশিরভাগ সময় মুকুন্দকে বাজারে থাকতে হয়। বাজারে তার একটা মিষ্টির দোকান আছে।
ছোট জায়গা। বেশি বিক্রি হয় না। একবার কেউ মিষ্টি কিনলে, সে আর দ্বিতীয়বার মুকুন্দের দোকানে আসত না!
একা একা বসে থাকলে মুকুন্দ ভাবতো—কেন এমন হয়? অথচ বাজারে যে-কয়টা মিষ্টির দোকান আছে তা বেশ চলে।
মুকুন্দ ফুলের সঙ্গে মিলিয়ে মিষ্টির দোকানের নাম রেখেছে ‘গন্ধরাজ’। কারণ সে ফুল ভালোবাসে। মিষ্টি ভালোবাসে। কিন্তু তার সঙ্গে কেউ মিষ্টি কথা বলে না। কচি কচি ছেলে-মেয়েরা তাকে দেখলে ভয়ে পালায়। কেন যে পালায়, সে জানে না!
লোকজন বলাবলি করে : মুকুন্দর চেহারার মধ্যে নাকি একটা দৈত্য দেখতে পাওয়া যায়। সে দৈত্য
রাতে ঘোরাফেরা করে।
আর এই চেহারার জন্য তার ঘরে কেউ এলো না। বাড়িতে ফুলের সঙ্গে বসবাস করবে ভেবে ফুল লাগিয়েও, ফুল পেল না।
তার মনের মধ্যে ভীষণ দুঃখ! এই দুঃখের কথা বলবার মতো কোনো মনের মানুষ নেই। ফলে মুকুন্দ নদীর কাছে যায়।
নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে নদীর জলে তাকিয়ে থাকে—ঘণ্টার পর ঘণ্টা!
একসময় মুকুন্দর চোখ নদীর জলের সঙ্গে এক হয়ে সাগরের দিকে চলে যায়!
…………………
পড়ুন
কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ
লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য
সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি
নিহিত মর্মকথা : সুনীল শর্মাচার্য
প্রয়াণগাথা : সুনীল শর্মাচার্য
মুক্তপদ্য
ইচিং বিচিং পদ্য : সুনীল শর্মাচার্য
গল্প
এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প : সুনীল শর্মাচার্য
আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য
প্রবন্ধ
কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য
মতামত
মুক্তগদ্য
খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে
ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন
বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে
ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা
রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ
ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত
ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা
ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা
ইন্ডিয়া ইউনাইটেড বনাম সেলিব্রিটিদের শানে-নজুল
করোনা, ভারতীয় জনগণ ও তার সমস্যা
8 thoughts on “মুকুন্দ”