shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

সড়ক দুর্ঘটনায় জুন মাসে প্রাণহানি ৩৬১ জনের

Road-Accident
Road-Accident

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত জুন মাসে ২৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬১ জন মারা গেছেন, আহত ৩৪৮ জন।

সড়ক দুর্ঘটনায়, বিশেষ করে এর মধ্যে ১০৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৪ জন—যা মোট নিহতের ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৬ জন পথচারী, ৪৯ জন যানবাহন চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন।

সম্প্রতি (রোববার, ৫ জুলাই ২০২০) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে—

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত জুনে দেশে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫৬ জন নিহত ও ২৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন।

এ ছাড়া ৬টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ জন।

আরো বলা হয়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, কম সিলেট বিভাগে।

একক জেলা হিসেবে ময়মনসিংহে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম পিরোজপুরে। সেখানে একটি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় হরদম মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনা কমাতে দক্ষ চালক তৈরি, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন মানা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটি।

ইউএনবি নিউজও একই সংবাদ প্রকাশ করেছে। তাদের শিরোনাম : জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬৮ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে করণীয়

এক. ড্রাইভারদের সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর ট্রেনিং দিতে হবে। তাদের ট্রেনিংয়ে অবশ্যই অন্য গাড়ি ও পথচারীদের বিষয়ে সচেতন হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। তাদের অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার শিক্ষা দিতে হবে। এ জন্য ট্রেইনারদেরও ট্রেনিং দেয়ার প্রয়োজন আছে।

দুই. পথচারীদের পথচলার এবং রাস্তা ক্রস করার বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে কেবল ট্রাফিককে সমুদয় দায়িত্ব দিলে চলবে না; বরং সব সচেতন নাগরিক ও ছাত্র-ছাত্রীদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।

তিন. প্রয়োজনবোধে আইন কঠোর করে গাড়ির মালিকদের বাধ্য করতে হবে যাতে তারা কোনো অবস্থাতেই ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের গাড়ি রাস্তায় বের করতে না পারেন। মান্ধাতার আমলের রংচটা, টোস খাওয়া দানবসদৃশ গাড়ির পরিবর্তে সুদৃশ্য ও পরীক্ষিত গাড়ি রাস্তায় নামাতে হবে।

আরোহীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর দায়িত্ব গাড়ির মালিকদেরও। ড্রাইভাররাও যেন বিরামহীনভাবে দীর্ঘ সময় গাড়ি না চালান সেই ব্যবস্থাও মালিকদের করতে হবে।

চার. পুরনো আইন পরিবর্তন করে নতুন আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এবং সরকার ঘোষণা দিয়েছে তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এটা প্রশংসনীয় এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে আশা করা যায়।

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...