গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ২৯, শনাক্ত ১৯২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্তের হার আরো কমে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য এ সময়ে নমুনা পরীক্ষাও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময় মারা গেছেন ২৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত করার নমুনা পরীক্ষা, শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কমেছে। এ পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ৬১৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৪১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৩টি নমুনা।

এর আগের দিন ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ১৫ হাজার ১১১টি নমুনা।

আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২০) দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২১১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২০) ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময় মারা গেছেন ৩২ জন। তথ্যমতে, দেশে ৯৩টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

আরো নির্দেশনা

যে কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কাছের পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করাবেন। যত পরীক্ষা করা হবে, ততই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তাই সামান্য জ্বর বা কাশিকে অবহেলা করবেন না।

তা ছাড়া কোনো কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও নমুনা পরীক্ষা করাবেন।

আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। সব বিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন না হলে যে কেউ যে কোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন।

বিশেষ করে, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করুন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।

রোগপ্রতিরোধ করতে সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন।

জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নিয়ম মানুন।

নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো টিভি নাটক, সিনেমা দেখে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন।

প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

যে কোনো ‍দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন।