shubhobangladesh

সত্য-সুন্দর সুখ-স্বপ্ন-সম্ভাবনা সবসময়…

করোনা থেকে সুস্থতার পর যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন এবং করণীয়

Symptoms of coronary heart disease

Symptoms of coronary heart disease

Symptoms of coronary heart disease

করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও যেসব উপসর্গ থাকে, সে-সময় যা যা জরুরি করণীয় এবং যেসব উপসর্গ থেকে সতর্ক থাকবেন, ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

উপসর্গ

কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জ্বর, শুষ্ক কাশি ও ক্লান্তি—সবচেয়ে বেশি প্রচলিত উপসর্গ। আরো কিছু উল্লেখযোগ্য উপসর্গ, যেমন—পেশি ব্যথা বা শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ লাল হওয়া, স্বাদের অনুভূতি হারিয়ে ফেলা, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া, ত্বক লাল হওয়া, পায়ের আঙুলে বিবর্ণতা ও ডায়রিয়া।

এ ছাড়া সংক্রমণটির দুটি মারাত্মক উপসর্গ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি হওয়া।

সত্য-মিথ্যা

অনেকেই মনে করেন, শরীর ভাইরাসমুক্ত হওয়া মানে সকল উপসর্গ চলে যাওয়া। কিন্তু কিছু উপসর্গের ক্ষেত্রে করোনা থেকে বাঁচতে—এটা সত্য নাও হতে পারে।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা সুস্থতার পর জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ রেজাল্ট আসার দীর্ঘসময় পরও কিছু উপসর্গ রয়ে গেছে।

এ-পর্যায়ে কোভিড-১৯ থেকে নিরাময় পাওয়ার পরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে—এমন চারটি উপসর্গ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে চারটি উপসর্গ

১. ক্লান্তি : জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (জেএএমএ) প্রকাশিত গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৩.১ শতাংশ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই মাস পরও ক্লান্তি থেকে গিয়েছিল।

আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রতিবেদনেও ক্লান্তির অবস্থান শীর্ষে ছিল। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ও সার্ভাইভারস কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ১,৫৬৭ জন কোভিড-১৯ সার্ভাইভারের ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই সুস্থ হওয়ার পরও ক্লান্তিতে ভুগছেন।

আর, ন্যাশভিলেতে অবস্থিত ভেন্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল আইসিইউর পরিচালক টড ডব্লিউ রাইস জানিয়েছেন, ফ্লু অথবা শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগের তুলনায় কোভিড-১৯জনিত ক্লান্তির স্থায়িত্ব বেশি।

২. শরীর ব্যথা : এদিকে, নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত লিনক্স হিল হসপিটালের ইমার্জেন্সি ফিজিশিয়ান রবার্ট গ্লেটার বলেন, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন এমন রোগীরা পেশি ব্যথা বা শরীর ব্যথার অভিযোগও করেছেন।

ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি যাদের ওপর জরিপ চালিয়েছেন—তাদের ২৬.৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের শরীরে ব্যথা ছিল। শুধু পেশী ব্যথা বা শরীর ব্যথা নয়, কিছু রোগীরা নিরাময়ের পরও মাথায় ব্যথা, বুকে ব্যথা, গলায় ব্যথা, পিঠের নিচের অংশে ব্যথা, স্নায়ুতে ব্যথা ও কিডনিতে ব্যথা অনুভব করেছেন।

এই জরিপ থেকে আরো জানা যায়, এসব ব্যথা অসহনীয় মাত্রার ও নিয়ন্ত্রণ কখনো কখনো কঠিন হতে পারে।

৩. মনোযোগে সমস্যা : রোগ থেকে সুস্থ হওয়া অনেকে জানান, তাদের মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে ও মনোযোগের সময়-দৈর্ঘ্য কমে গেছে। পাবলিক হেলথ কমিটি অব দ্য ইনফেকশাস ডিজিজেস সোসাইটি অব আমেরিকার সদস্য এলিসা চয় বলেন, কেবল কোভিড-১৯ নয়, অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণেও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে দেখা গেছে।

শরীর ভাইরাসমুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই যে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমনটা নাও হতে পারে। সংক্রমণের কিছু প্রতিক্রিয়া দূর হতে বেশি সময় লাগতে পারে।

৪. শ্বাসকষ্ট : অনেক কোভিড-১৯ সার্ভাইভার জানিয়েছেন, নিরাময়ের পরও তাদের শ্বাসকষ্ট অব্যাহত ছিল।

সুস্থ হওয়ার পর করণীয়

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস রোগটি নতুন। ফলে এ রোগের লক্ষণ, উপসর্গ ও চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা জনসাধারণের পাশাপাশি চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মাঝেও নতুন।

রোগটির সঙ্গে ২০০৩ সালের সার্স কোভ-১ এবং ২০১২ সালের মার্স করোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ, জটিলতা ও উপশমের ধারাবাহিক মিল রয়েছে। এরই মধ্যে ২০০৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরের পুঞ্জীভূত তথ্যগত অভিজ্ঞতা ও ফলোআপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যার আলোকে একই গোত্রের এ নতুন সার্স কোভ-২ ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপট

কোভিড-১৯ থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের অনেকেই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উপসর্গবিহীন অথবা মৃদু লক্ষণযুক্ত রোগীরা দুই সপ্তাহের মধ্যে এবং মাঝারি, তীব্র ও মারাত্মক লক্ষণযুক্ত রোগীরা চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

রোগ-পরবর্তী সময়ে তাদের অনেকেরই একান্ত উদ্বেগের বিষয় ছিল—‘এরপর কী? সম্পূর্ণ সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব তো? এখন আমাদের কী করণীয়?’

মূলত, কোভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারেন। মাঝে মাঝে এ রোগটির কিছু ধারাবাহিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সে-কারণে প্রত্যেক করোনা রোগীর করোনা থেকে বাঁচতে এ ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি।

সম্ভাব্য কিছু জটিলতা, সমাধান ও করণীয়

বক্ষব্যাধিবিষয়ক সমস্যা : করোনা রোগটি প্রাথমিকভাবে ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ভাইরাসটি যদি ফুসফুসে ক্ষত সৃষ্টি করে, তাহলে আমাদের দেহ শরীর বৃত্তিয় প্রক্রিয়ায় সেই ক্ষত পূরণ করে নেয় এবং ফুসফুস স্বাভাবিকভাবে কাজ করে।

অন্যদিকে, আক্রান্ত ক্ষত যদি ব্যাপক হয়, যেমন—উভয় দিকের মারাত্মক কনসলিডেশন, এআরডিএস, ভাসকুলার থিকেনিং, ব্রংকিয়েকটেসিস ইত্যাদি; সেক্ষেত্রে কখনো কখনো এ ক্ষতগুলো পূরণ হওয়ার পরও ফুসফুসে স্কার বা ফাইব্রোসিস, সহজ বাংলায় ‘দাগ’ থেকে যায়।

রোগীর ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হতে পারে। রোগী অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠতে পারেন। এতে সাংসারিক ও দাপ্তরিক কাজকর্ম করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।

পরবর্তী সময়ে ঘন ঘন কফ, কাশি, বুকে ব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষত যারা আগে থেকেই বিভিন্ন শ্বাসজনিত রোগ, যেমন—অ্যাজমা, সিওপিডি ও অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।

তবে আতঙ্কিত না-হয়ে নিয়মিত বক্ষব্যাধি চিকিৎসকের পরামর্শ, ধারাবাহিক ফলোআপ এবং ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করলে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।

ব্রিটিশ থোরাসিক সোসাইটির পরামর্শানুযায়ী, করোনার তিন মাস পর অবশ্যই প্রত্যেক রোগীর একটি বুকের এক্সরে এবং পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করে নেয়া উচিত।

হৃদরোগবিষয়ক সমস্যা : কখনো কখনো করোনাভাইরাস আমাদের হৃদযন্ত্রকেও আক্রান্ত করতে পারে। যেমন—ভাইরাল মায়োকারডাইটিস, ডায়ালেটেড কারডিওমায়োপ্যাথি ইত্যাদি।

এসব রোগীর বুক ধড়ফড় করা, অস্থিরতা, বুকে ব্যথা, এমনকি শ্বাসকষ্ট ও পায়ে পানি আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো মৃদু লক্ষণ এবং এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

তবে অনেক ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের সঠিক চিকিৎসা সময়মতো না-হলে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। এ-জন্য প্রয়োজনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নার্ভ ও ব্রেইনের বিভিন্ন সমস্যা : অনেক সময় করোনা রোগীরা শ্বাসযন্ত্রে সমস্যার পাশাপাশি কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ নিয়েও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। যেমন—ব্রেইন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা।

এ ছাড়া ভাইরাসের প্রভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভিন্নভাবে তীব্র রূপে ব্যবহৃত হয়ে ফুসফুসের ক্ষতি করে—একই উপায়ে এটি বিভিন্ন নার্ভের ক্ষতি করে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে দুর্বল করে দিতে পারে।

সার্স, মার্স ও অন্যান্য সাধারণ কয়েকটি ভাইরাসের ক্ষেত্রে এমন রোগের, যেমন—গুলেন বারি সিন্ড্রোম, ট্রান্সভার্স মায়ালাইটিস, সিআইডিপি এনকেফালাইটিস ইত্যাদি; প্রাদুর্ভাবের রিপোর্ট করা রয়েছে।

এসব রোগের ফলে শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের অসাড়তা, ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা, স্পর্শ বা অনুভূতি বোধের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এ রোগগুলো ভাইরাস আক্রমণের জটিলতায় সৃষ্টি হয়।

অন্য ভাইরাসের মতো সার্স কোভ-২ বা করোনাভাইরাস একইভাবে এসব জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগ বাঁধাতে পারে কি-না, সে বিষয়ে গবেষণা চলছে।

রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তনালির বিভিন্ন সমস্যা : কোভিড-১৯ আক্রান্তকালীন যখন রোগটির তীব্রতর অবস্থা থাকে, তখন শরীরের বিভিন্ন রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা দেখা দেয়।

এ রক্তনালি দ্বারা যেসব অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন থাকে, সেসব অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে, যেমন—ফুসফুস, হার্ট, ব্রেন, কিডনি। তাই চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই রক্ত তরল করার বিভিন্ন ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং পরবর্তী সময়ে মুখে খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে প্রয়োগ করে থাকেন।

অন্যান্য প্রত্যঙ্গে প্রভাব : কোভিড রোগাক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সার্স কোভ-২ দ্বারা আকস্মিক কিডনি ও লিভার বিকল ইত্যাদি রোগের মোকাবেলা করে থাকেন, কিন্তু কোভিড রোগটি থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর এ বিকল কিডনি বা লিভার সম্পূর্ণ আগের অবস্থায় ফিরবে, নাকি কিছু ক্ষতি রয়ে যাবে—সেটি নির্ণয়ের জন্য আরো কিছুদিন রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।

বিশেষত, যারা আগে থেকেই কিডনি ও লিভারের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন, তাদের জন্য ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় : আলোচিত সমস্যাগুলো অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তবে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এগুলো বেশি হতে পারে।

সাধারণত কোভিড রোগীদের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, রোগ-পরবর্তী সময়ে রোগীরা প্রচণ্ড দুর্বলতা, কাজে অমনোযোগিতা, মানসিক বিক্ষিপ্ততা, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, হাত-পা জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন।

অনেকের ক্ষেত্রে নিকট অতীতের স্মৃতিভ্রম হয়, নতুন কিছু শেখা বা করার ক্ষেত্রে ধীরগতি, দ্বিধা, একাকিত্ব বোধ, মতিভ্রম ইত্যাদি হতে পারে।

অনেকে আবার আইসিইউ বা কোভিড হাসপাতালের ভীতিকর স্মৃতিতাড়িত হয়ে উদ্বেগে ভোগেন। আবার অনেকে স্বজন হারানোর বেদনা বা অর্থনৈতিক চাপে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। বিভিন্ন রকম মানসিক অবসাদ অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের ধারণা : শিশুদের ক্ষেত্রে ‘কাওয়াসাকি রোগের’ মতো একটি রোগের লক্ষণ, পুরুষদের ক্ষেত্রে সাময়িক বন্ধ্যত্ব ও কিছু ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভধারণজনিত জটিলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

পরামর্শ : কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতার পর আপনি কোনো সমস্যা অনুভব করলে চিকিৎসককে সঙ্গে সঙ্গে জানান, তাকে বলতে ভুলবেন না আপনি কোভিড-জয়ী রোগী।

সেই সঙ্গে নিজের জন্য গড়ে তুলুন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনব্যবস্থা। ধূমপান পরিহার করুন, নিয়মিত ফুসফুসের হালকা ব্যায়াম করবেন চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী।

এ ছাড়া করোনা থেকে বাঁচতে সুস্থ ও ইতিবাচক চিন্তার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেভাবে রোগ-জয় করেছেন, একইভাবে পরবর্তী যে কোনো জটিলতা সফলভাবে মোকাবেলা করবেন, বিশ্বাস রাখুন।

—ডেস্ক শুভ স্বাস্থ্য

……………………………………………………………………………………………

করোনায় জরুরি সাহায্য পেতে ফোন নম্বর

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন

About The Author

শেয়ার করে আমাদের সঙ্গে থাকুন...