
খুচরো কথা চারপাশে
পাথরের মতো মৌন জিজ্ঞাসা
সুনীল শর্মাচার্য
পাথরের মতো মৌন জিজ্ঞাসা
১
সকাল হলো। পাখি ডাকলো। বাতাস বইলো।
সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠলো। সবাই?…
হয়তো কেউ কেউ আর জাগলো না!…
.
তার খবর আমরা কেউ জানি না!
.
২
ভয় আর ছুঁৎমার্গে ভরে যাচ্ছে দেশ…
.
৩
কার কি যে স্বপ্ন, চরিত্র বোঝা ভার! কেউ বাড়ি-গাড়ির স্বপ্ন দেখে। নিজে ভালো থাকার জন্য কত কিছু করে। নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দেয়। তার যত গল্প কাড়িকাড়ি টাকা আর গাড়ি-বাড়ির, বড় বড় ধনী বন্ধুদের গল্প।
ভোগ-বিলাস-গাড়ি-বাড়ি আর শুধু নিজের ভালো ভেবেই তারা জীবন পার করে দেয়। অন্যকিছু আর ভাবে না। চারপাশ, বন্ধু-স্বজন, প্রতিবেশী, দেশ, সমাজ, বৃক্ষ-লতা, প্রকৃতি কারুর কথা ভাবে না।
কেন যে মানব জনম! কেন যে এই জীবন? সেসব তারা কিছুই ভাবলো না! অজানা জঙলি লতাপাতার মতো বাড়লো। বড় হলো। পৃথিবীর সবকিছু ভোগ করলো আর ঝরে গেল! জন্মের দাগ রাখলো না!
কেউ মনে রাখলো না। জীবনের সীমাবদ্ধতা ভাঙলো না! জীবনের উদ্দেশ্য আদর্শ জানলো না! হায়, মানুষ! এ তোমার কেমন জনম, জীবন!!
.
৪
যাদের হাত ধরে এত বেকারি, এত দুর্নীতি, এত আর্থিক ক্ষতি, এত আদিমতার হাতছানি—আবার তাদেরকেই স্থায়ী করতে মানুষের স্বপ্নমোহ… বুঝতে পারি না!
.
৫
বর্তমানে রাজনীতিতে ধর্ম বিপদজনকভাবে ব্যবহার হচ্ছে…!
.
৬
আমরা আচ্ছন্ন, তিনি গান করছেন
নানান চিত্রধ্বনি ভেসে যাচ্ছে আকাশে
কার সঙ্গে কার বন্ধন বোঝা দায়…
অস্থির মন, স্বস্তি নেই, শান্তি নেই, নেই…
সবাই আচ্ছন্ন, তিনি গান করছেন
.
৭
চারদিকে আজ সন্দেহ
সন্দেহ ছাড়া নেই কেহ!
.
৮
সে যুগের রাজা এখন আর নেই! সে রাজসভাও নেই! রাজসভার কবিও নেই। কিন্তু সেটা এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে।
এখন কর্পোরেট জগতের মেট্রো কবি আছেন। স্মার্ট কবি আছেন। তাঁরা প্রচার মাধ্যমের সুযোগের কারণে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন। তাঁরাই নির্ণয় করেন কোন কবিতা শ্রেষ্ঠ কবিতা। তাঁরাই বলে দেন কোন কবি গ্রহণযোগ্য।
আসলে এঁরাই কবিতা জগৎ শাসন করেন। এঁরা সাহিত্যের ডন বা মাফিয়া। এঁদের আনুকূল্য লাভে বঞ্চিত মূল স্রোতের বিপরীতে থাকা কবি সাহিত্যিকরা। তাঁরা সারস্বত সমাজে প্রতিষ্ঠা পান না। প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। কারণ তাঁদের স্বীকৃতি নেই। শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম নেই। পুরস্কার নেই।
আজকাল প্রতিভাহীন ব্যক্তিও এই কর্পোরেট জগতের প্রচারের আলোয় উজ্জ্বল। তাঁদের উন্নাসিকতা এবং নিজেদের বিরল মানুষভাবা রীতিমতো লজ্জাকর। রবীন্দ্রনাথের মতো তাঁরা নিজেদের দীনতা প্রকাশ করেন না!
.
৯
সুবিধাবাদী মানুষ এখন আমাদের চারপাশে।
এঁরা যদি রাজনীতি করে, তবে কোন সুবিধা দেবে আমাদের?
দেশের জন্যই এঁরা কী করবে??
.
১০
চাড্ডিরা ভারতের ইতিহাস নতুন করে লিখছে। সেখানে বাংগাল কিছু চুটিয়া ধুনো দিচ্ছে। বাঙালি কি চিরকাল ক্ষমতাসীনদের পা চেটে যাবে! নিজের সুবিধা ভোগের জন্য গোটা জাতিকে বিপন্ন করতেও পিছ পা নয়।
এমন এক চাড্ডি প্রতীম চট্ট লিখেছে, ভারত স্বাধীনতা হারিয়েছিল পৃথ্বিরাজ চৌহানের পরাজয় দিয়ে এবং মুসলিম এসে ভারতের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সব শেষে, তার বক্তব্য পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজরা ভারতকে মুসলিম শাসনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে। অর্থাৎ, পলাশীর যুদ্ধের দিন ভারতের স্বাধীনতার দিন।
এই ন্যারেটিভ বিজেপির, মানে আরএসএসের। এটাই গেলানো হচ্ছে। সম্ভবত বিভিন্ন সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে এটা। এরা রোমিলা থাপারের মতো ইতিহাসবিদকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে! এই প্রবণতা ভয়ঙ্কর এবং আপত্তিকরও!
ভারতে বারবার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। বিদেশিদের আক্রমণে জেরবার হয়েছে এই দেশ এবং তা শুরু হয়েছে মুসলিমদের আগমনের বহুকাল আগে থেকেই। বৈদিক সভ্যতা বলে যা পরিচিত, তার আগেও ভারতে ছিল উন্নত এক সভ্যতা, সে সভ্যতার নাম সিন্ধু সভ্যতা, হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর সভ্যতা। এই সভ্যতার পর থেকে ভারতে বিদেশি আক্রমণ শুরু হতে থাকে।
প্রতীম চট্ট বা আরএসএস ভুলেও এসব উল্লেখ করে না। আর্য বলে যারা নিজেদের দাবি করছেন, তারাও তো বিদেশি, বলে, কোনো কোনো ইতিহাসবিদ বলছেন। তাহলে, প্রতীম চট্ট বা আরএস স এই ন্যারেটিভ ধোপে টেকে না। এদেশে শাক হূণ এসেছে। রাজস্থানে যারা নিজেদের আর্য বলে অভিহিত করছেন, তাদের অধিকাংশই তো এই হূণদের বংশধর।
ভারতের মূল জাতি তো ঐ ভীল, মুণ্ডা, সাঁওতাল এবং দ্রাবিড়রা। সুতরাং কেন আরএসএস জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইছে ভুল এবং বানানো এক ইতিহাস? এটা কি নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস মুছে দেবার জন্য?
.
১১
সোস্যাল মিডিয়ায় দেখলুম, প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন, ‘আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ বাঁকের মুখে দাঁড়িয়ে। সংবিধানের প্রতিটা অধ্যায়ের উপরে আক্রমণ হচ্ছে। দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে, প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতার স্পর্ধার সামনে দাঁড়িয়েই আমাদের কথা বলতে হবে। তার জন্য যা পরিণাম ভুগতে হয়, হবে! তা না-হলে কাল আর কিছু বাঁচানোর জন্য পড়ে থাকবে না!’
.
১২
কেন একজন কবিকে পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর পাই না! আমার মনে হয়, এটাই একজন কবির ভবিতব্য! সাগর থেকে ফেরা’র কবিকে ভুলে গেছি আমরা, রাম বসু, মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়, রমেন্দ্রকুমার আচার্য চৌধুরী, রবীন সুর, কেউ পড়েন বলে মনে হয় না!
অথবা, ‘বাঁকা চাঁদের ফালিটিকে তুমি না কি খুব ভালোবাসতে’ যিনি লিখেছিলেন, সেই দিনেশ দাসকে ক’জনে পড়ি? কবি ধুলির সঙ্গে মিশে যেতেই লেখেন। তিনিই জানেন, স্থায়ী, বলে, কিছু নেই! তাহলে রবীন্দ্রনাথ বা জীবনানন্দ আজও লোকে পড়ে কেন?
এখানেই প্রতিষ্ঠানের গোপন খেলা। কাকে তুলে ধরা হবে, কাকে টিকিয়ে রাখা হবে, নির্ধারণ করে এই প্রতিষ্ঠান। এই প্রাতিষ্ঠানিকতাই ভাঙতে চেয়েছেন সকল কবি, কেউ পেরেছেন, কেউ পারেননি!
.
১৩
কবিতা লিখি। ভাবি, কবিতার ভবিষ্যৎ পরিণতি কি? সময়ের ভূমিকা কি? জানি না! তবে, প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, সম্পর্ক থাকে। কিছুটা হাততালির মতো। মূল্যায়ন? সেটা ভবিতব্য!
আমি জানি, আমার কবিতা, একদিন আমার সঙ্গেই ধুলোয় মিশে যাবে! যা থেকে যাবে, তা ঐ শ্রুতি। একজন থেকে আর একজনের ভেতরে। যদি পাঠক থেকে শ্রোতা থাকে।
এখন প্রিন্ট মিডিয়া পার হয়ে ডিজিটালের জগৎ। শ্রুতি নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কবিতা তাহলে টিকে যাবে? সত্যি?? রোজ লেখা হচ্ছে কবিতা। পাঠ কতদূর হয়, জানা নেই! পরিচিত মুখ দেখে কিছু পাঠ যে হয়, তা জানি এবং তাও কম নয়। তা হলে, পরিচিতি দরকার একজন কবির?
প্রতিষ্ঠান যাদের নিয়ে নাচানাচি করেছে একদা, তাদের অনেকেই এখন বিস্মৃতির অতলে! তখন মনে হয়, সময়ের এক ভূমিকা থেকে যায়। সমসাময়িকতার ঊর্ধ্বে গিয়ে, কোনো কোনো কবি এ-কারণেই টিকে যান, তাঁকে পুনরুক্ত আবিষ্কার করে পরবর্তী প্রজন্ম। পুনরায় পাঠ শুরু করে।
এই পুনরুক্ত আবিষ্কারের গোপন বাসনা আমাকে লেখায়, বাঁচতেও শেখায়। সমর সেন এসবের ঊর্ধ্বে ছিলেন বলে, অবলীলায়, কবিতা লেখা ছেড়ে দিতে পেরেছিলেন!
.
১৪
ভাবি, শেষ সত্য কি? সব সত্য তবে শেষ সত্য নয়? এই প্রশ্নের উত্তরে প্লেটো নীরব, আমাদের ঋষিগণ দিশাহীন, উপনিষদ-বর্ণিত সত্য আর পুরাণ-বর্ণিত সত্য এক নয়! জীবন দেবতার কথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। জীবনানন্দ দাশ বললেন, রণ রক্ত সফলতা শেষ সত্য নয়।
যুগে যুগে সত্যের সন্ধান হয়েছে। হেমলক পান করে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল সক্রেটিসকে। গ্যালিলিওর মত বিজ্ঞানীর দিতে হয়েছিল প্রাণ। তবু শেষ সত্য জানা হয়নি আমাদের। মিথ্যা ঘিরে রেখেছে এই জগতকে। এই মিথ্যার সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে না-পারলে সত্যের মুখ দেখা প্রায় অসম্ভব!
রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিনিয়ত মিথ্যার আলো দিয়ে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের। সঙ্ঘবদ্ধ আগ্রাসন তাদের। এই আগ্রাসনের সামনে ব্যক্তিমানুষ দিশেহারা। সে যে সত্যকে জানে, তাও ক্রমঅপসৃয়মান। অধরা থেকে যায় সত্য। সত্যিই কি অধরা সেই সত্য?
রণ রক্ত সফলতা যদি শেষ সত্য না হয়, তবে কি সেই শেষ সত্য? ‘মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান’ বলে রবীন্দ্রনাথ কি সেই ইঙ্গিত আমাদের দেননি?
.
১৫
অনেকে বলেন স্বতঃস্ফূর্ত লেখা। স্বতঃস্ফূর্ত চর্চা। এসব হয় বলে মনে করি না! কেননা, বিশেষ
করে কবির স্বতঃস্ফূর্ততা তো চুল্লি জ্বালানোর মতো। মানে, কবির রান্নাঘরের চুল্লি সর্বদা জ্বালানো। ক্রমাগত রান্না হতে থাকে সেখানে।
সেই রান্নার শত দোষত্রুটি ধরে কেউ। যে রাঁধুনি সে তার রান্নার দোষত্রুটি শুধরে নিয়ে পুনরায় রান্না ভালো করার চেষ্টা করেন। একজন কবিও রাঁধুনি। অহর্নিশ তার রান্না চলে। ঘটনা হলো, সবার হাতের রান্না ভালো হয় না। এটা অনস্বীকার্য। হাতের যশে অখাদ্য রান্নাও চেটেপুটে খেতে হয়।
কবির অবস্থা ঠিক তাই! স্বতঃস্ফূর্ত বলে কিছু হয় না। ঐ যে বললাম, রান্না চলতে থাকেই। অহর্নিশি!
.
১৬
রাষ্ট্র সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা দরকার একজন কবি বা লেখকের, একজন শিল্পীর, নাট্যকর্মীর, সে অভিনেতা বা পরিচালক হোন। এই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্গত রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা সম্পর্কেও সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই ধারণা যত গভীরতর হবে, শাদাকে শাদা বলার, কালোকে কালো বলার শক্তি অর্জন করা তত সম্ভব হয়।
শিল্প, আর যাই হোক, শূন্যের মরুদ্যান নয়, বরং জীবনের বহমান এক দর্পণ। এই দর্পণ বারবার ভেঙে যায় রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপে!
.
১৭
ভাবছি। একদিন একটা কবিতার নাম রাখব লোকগীতি। একটা উদাসী গানের নাম রাখব একা আকাশ। আর যখন বৃষ্টিফোঁটারা নাচতে থাকবে তোমার উঠোনে—তখন তার নাম রাখব আনন্দতরী। পশ্চিমদিক থেকে উড়ে আসা বিষণ্ণ সন্ধ্যার নাম যদি রাখি প্রথম প্রেম—তাহলে তো অন্তত কিছুক্ষণ জিরোতে পারব নরম অশত্থছায়ায়।
এই দেখ না, এত বছরের অনাদরে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া মধুর ভুলগুলোর নাম এখুনি দিয়েছি টেরাকোটা। ঋত আর অনঙ্গর মাঝখানে এইটুকুই তো বসার জায়গা—ভালোবাসারও। খুব কোমল ভালোবাসার নাম তাই রেখেছি মোমের আলো। আর, টুকরো হতে হতেও যখন বুঝি যে এই রাতই একমাত্র যন্ত্রণা নয়, তখন খোলা জানালার বাইরের রাস্তার নাম রাখতে ইচ্ছা করে ভোরবেলা।
অবশ্য, নামে কিবা এসে যায়? তোমার পাশে গেলে সব নামই তো এলোমেলো হয়ে যায় আমার… ওর।
.
১৮
বিজেপির নেতারা, কর্ণধাররা নিজেদের বেলায় এক, আর অন্যদের বেলায় আরেকরকম! ভেতরে ভেতরে তারা রাজতন্ত্র কায়েম করার লক্ষ্যে যাচ্ছে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ করে। আর নিজেরা নিজেদের মেয়েদের মুসলমানের ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছে। ভেবে অবাক! এই যেমন ধরুন :
এক. অশোক সিঙ্ঘল মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন—মুক্তার আব্বাস নকভির সঙ্গে।
দুই. মুরলী মনোহর জোসী মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন—শাহনাওয়াজ হুসেনের সঙ্গে।
তিন. সুব্রক্ষণ্যম স্বামী তার মেয়ে সুভাষিণী বিয়ে করেছেন মুসলিমকে।
চার. নরেন্দ্র মোদীর ভাইঝি বিয়ে করেছেন মুসলিমকে।
পাঁচ. আদভানি তার মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে দিয়েছেন মুসলিম ছেলের সঙ্গে।
ছয়. বাল ঠাকরে তার নাতনীর বিয়ে দিয়েছেন মুসলিম ছেলের সঙ্গে।
সাত. সবচেয়ে বেশি মুসলিমবিদ্বেষী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রবীণ তোগাড়িয়া তার বোনের বিয়ে দিয়েছেন মুসলিম ছেলের সঙ্গে!
ভাবছি, এগুলো কি লাভ জেহাদ? কেন ওদের মুসলিম জামাই এত পছন্দ? হিন্দুদের মধ্যে কি যোগ্য ছেলে ছিল না!!
.
১৯
প্রাণ বিকশিত হতে চায়—সকল বাধা অতিক্রম করে। এই চাওয়া জৈবিক। উদ্ভিদ থেকে প্রাণী এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষ তাকে নিয়ে গেছে জৈবিকতার পরপারে, তার চিন্তাশক্তি ও ধী দিয়ে। আবিষ্কার করেছে ঈশ্বর থেকে পরমাণুকণা। এই মানুষই সর্বনাশের হাত ধরেছে বারবার। তার ক্ষুদ্র স্বার্থ ও লোভ তাকে করে তুলেছে দৈত্য।
এই পরস্পরবিরোধী সত্ত্বা নিয়ে মানুষ পড়েছে বিপদে। সে এখন অসহায়, মূঢ়!
…………………
পড়ুন
কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের একগুচ্ছ কবিতা
সুনীল শর্মাচার্যের ক্ষুধাগুচ্ছ
লকডাউনগুচ্ছ : সুনীল শর্মাচার্য
সুনীল শর্মাচার্যের গ্রাম্য স্মৃতি
নিহিত মর্মকথা : সুনীল শর্মাচার্য
গল্প
এক সমাজবিরোধী ও টেলিফোনের গল্প: সুনীল শর্মাচার্য
আঁধার বদলায় : সুনীল শর্মাচার্য
প্রবন্ধ
কবির ভাষা, কবিতার ভাষা : সুনীল শর্মাচার্য
মতামত
মুক্তগদ্য
খুচরো কথা চারপাশে : সুনীল শর্মাচার্য
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ পাঠ্যান্তে
ভারতের কৃষিবিল যেন আলাদিনের চেরাগ-এ-জিন
বাঙালিদের বাংলা চর্চা : খণ্ড ভারতে
ভারতে চীনা দ্রব্য বয়কট : বিষয়টা হাল্কা ভাবলেও, সমস্যাটা কঠিন এবং আমরা
রাজনীতি বোঝো, অর্থনীতি বোঝো! বনাম ভারতের যুবসমাজ
ভারতে শুধু অমর্ত্য সেন নয়, বাঙালি সংস্কৃতি আক্রান্ত
ভারতের CAA NRC নিয়ে দু’চার কথা
ভারতের এবারের বাজেট আসলে অশ্বডিম্ব, না ঘরকা না ঘাটকা, শুধু কর্পোরেট কা
8 thoughts on “পাথরের মতো মৌন জিজ্ঞাসা”